দৈনিকবার্তা–ঢাকা,৬ নভেম্বর: খাদ্যমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কামরম্নল ইসলাম বলেছেন,স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা করায় বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বীরউত্তম খেতাব কেড়ে নেয়া উচিত৷তিনি বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াত-শিবিরের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন৷
সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট তারানা হালিম এমপির সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক বলরাম পোদ্দার, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, জোটের সাধারণ সম্পাদক অরম্নন সরকার রানা প্রমুখ৷
কামরুল বলেন,১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমানের আসল চেহারা জাতির সামনে ধরা পড়ে৷
তিনি বলেন,জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চারনেতার খুনী৷ তিনি বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চারনেতার খুনীদের পুরষ্কৃত করেছিলেন এবং এ হত্যাকান্ডের যাতে বিচার হতে না পারে তার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন৷
তিনি বলেন, পাকিসত্মানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন৷সেজন্য তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন৷কামরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করা এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা করার দায়ে জিয়াউর রহমানের বীরউত্তম খেতাব কেড়ে নেয়া উচিত৷
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরী ও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের ৰমতার উত্স একই জায়গায়৷ আর তা হলো আইএসআই৷তিনি আরো বলেন, বেগম জিয়া জাতীয় শোক দিবসকে মিথ্যা জম্মদিন বানিয়ে ভুয়া জম্মদিন পালন করে থাকেন আর তারেক রহমান বিদেশের মাটিতে বসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে৷
কামরুল বলেন,দেশের গণমাধ্যমসমুহ বিএনপি-জামায়াতের ওয়েবসাইট ও ভিডিও কলের মাধ্যমে আহবান করা হরতালের খবর প্রচার না করলে জনগণ জানতেই পারবে না- দেশে হরতাল ডাকা হয়েছে৷
তিনি ওয়েবসাইট ও ভিডিও কলের মাধ্যমে ডাকা হরতালের খবর প্রচার না করার জন্য দেশের গণমাধ্যমসমুহের প্রতি আহবান জানান৷