দৈনিকবার্তা-মৌলভীবাজার, ৪ জানুয়ারি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিরাঙ্গনার হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেয়ার মধ্যেদিয়ে শেষ হলো সাংবাদিক বিকুল চক্রবত্তর্ীর আয়োজিত ২১ দিন ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র ও স্মারক প্রদর্শনী৷ রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় শ্রীমঙ্গল বধ্যভুমিতে এ সমাপনি অনুষ্ঠানে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কুমুদ রঞ্জন দেব এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিবি শ্রীমঙ্গল সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল তারিকুল ইসলাম খান পি.এস.সি.৷ সাংবাদিক বিকুল চক্রবত্তর্ীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সাংবাদিক এম এ মতিন, ফিনলে টিএর ডিজিএম গোলাম মো. শিবলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিরাজ সেন তরম্নন, এডভোকেট জাহেদুল হক কচি, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সহসভাপতি চৌধুরী ভাস্কর হোম, একাত্তর টেলিভিশনের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি আহম্মদ ফারম্নখ মিলস্নাদ, যুগানত্মর শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি সৈয়দ আবু জাফর সালাউদ্দিন, শ্রীমঙ্গল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান আলম, সাংবাদিক ইমাম হোসেন সুহেল৷ সমাপনি অনুষ্ঠানে শ্রীমঙ্গল সাতগাও এলাকার একাত্তরে সমম্বম হারানো বীর মাতা মনোয়ারা বেগমকে দেয়া হয় সম্মাননা স্বারক ও একটি মোবাইল সেট৷ এ ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন একুশে দর্শক ফোরামের সদস্য কবি তোফায়েল আহমদ, মো.জহিরম্নল ইসলাম সোহেল, জীবন পাল ও কার্ত্তিক চাষা৷
উল্লেখ্য গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল বধ্যভুমি একাত্তারে সাংবাদিক বিকুল চক্রবত্তর্ীর এ প্রদর্শনীটি উদ্ভোধন করেন সাবেক গনপরিষদের সদস্য মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আজিজুর রহমান৷ এছাড়াও প্রদর্শনী দেখতে আসেন তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যৰ আব্দুস শহীদ এমপি, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো.কামরম্নল হাসান, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ, উপজেলা চেয়ারম্যান রনধীর কুমার দেবসহ প্রায় ৪০ হাজার দর্শনাথর্ী৷ সাংবাদিক বিকুল চক্রবত্তর্ী বাঙ্গালীর স্বাধীকার আন্দোলন থেকে একাত্তর পর্যনত্ম প্রায় দেড়শতাধিক আলোচত্র স্থানীয় শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধের আরো প্রায় তিনশতাধিক আলোকচিত্র এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত সামগ্রী দিয়ে এ প্রদর্শনীটি করেন৷
সাংবাদিক বিকুল চক্রবত্তর্ী মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে ২০০৯ সাল থেকে শুরু করেন তথ্য সংগ্রহ৷ তথ্য সংগ্রহের পর প্রদর্শনী৷ যা ইতিপূবে বেশ সারা জাগিয়েছে৷ তার এ প্রয়াসে ইতিমধ্যে সংরক্ষিত হয়েছে বেশ কয়েকটি বধ্যভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিময় স্থান৷ একই সাথে তার প্রদর্শনীর মাধ্যমে সম্মানানা দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকজন দেশী বিদেশী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের৷ বিকুল চক্রবত্তর্ী এই প্রদর্শনীর বিশেয়ায়িত হলো তিনি একাত্তরে শহীদ হওয়া পরিবার গুলোকে মূল্যায়িত করার চেষ্টা করছেন৷ ৩০ লাখ শহীদের বিনীময়ে এই বাংলার স্বাধীনতা এসেছে৷ যাদের আত্ম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি তাদের মূল্যায়ন না করা হলে স্বাধীনতার স্বার্থকতা আসবে না৷ তাই বিকুল চক্রবত্তর্ী ছুটে যাচ্ছেন জেলার বিভিন্ন উপজেলার একাত্তরের শহীদানদের বাড়ি বাড়ি৷ তুলে আনছেন তাদের ছবি, তার ব্যাবহৃত সামগ্রী ও তার বর্তমান পরিবারের ছবি৷ যা প্রদর্শনের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছেন শহীদ ও শহীদ পরিবারের সাথে নতুন প্রজন্মের সেতু বন্ধন৷