দৈনিকবার্তা-মাদারীপুর, ১৩ ফেব্রুয়ারি : জেলার বিনোদন পিপাসুদের একমাত্র অবলম্বন স্বাধীনতা অঙ্গন ‘শকুনী লেক’। যাকে মাদারীপুরবাসী ‘লেকেরপাড়’ নামেই চিনে। বিকেল হলেই শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সের মানুষ ছুটে আসেন এই স্থানে। কেউ নাটক কিংবা গানের অনুশীলন করেন। আবার কেউ কেউ পড়াশোনায় সময় কাটান এখানে। এই শকুনী লেকের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু করেছে মাদারীপুর পৌরসভা।
উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী মাদারীপুর জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রতন কুমার দাস বলেন, ‘সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একটি মিলন মেলা হচ্ছে ‘শকুনীলেক-স্বাধীনতা অঙ্গন’। সাংস্কৃতিক চর্চা ও বিনোদনের জন্য সবাই একত্রে মিলিত হই এখানে। দ্রুত এই প্রকল্পের কাজটি শেষ হলে সবাই যে প্রাণের টানে ছুটে আসে এখানে, সেই আনন্দ আরো ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবে। এই শকুনী লেক মাদারীপুরবাসীর প্রতিবাদের ভাষা হিসেবেও কাজ করে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও দর্শনার্থী ছুটে আসবে এখানে।’ এদিকে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার খোন্দকার ফরিদুল ইসলাম জানান, পুলিশ সুপারের কার্যালয় লেকেরপাড়ে অবস্থিত হওয়ায় তা অন্যত্র সরিয়ে নিতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমি বুঝে নেয়া হয়েছে। মাদারীপুরবাসীর চাওয়া অনুযায়ী দ্রুত এই অফিসটিকে ভেঙ্গে সরিয়ে নেয়া হবে।
জানা গেছে, প্রাতঃভ্রমণ, শিশু পার্ক, স্বাধীনতা অঙ্গন, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, ভাসমান অবস্থায় ঘাটলাসহ মাদারীপুর ঘড়ি নামে একটি টাওয়ারও থাকবে এই শকুনী লেক প্রকল্পে। ১১৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪৯০ ফুট প্রস্থ এই শকুনীলেকের কাজটি দ্রুত শেষ করে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার জোর দাবি মাদারীপুরবাসীর।