দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০২ মে: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নিজস্ব ভবন নির্মাণ তহবিলে আরো ১ কোটি টাকা যুক্ত হলো। বহুজাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এম জি এইচ গ্র“পের পক্ষ থেকে শনিবার এই ১ কোটি টাকা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নিজস্ব ভবন নির্মাণ তহবিলে প্রদান করা হয়।মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পক্ষে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এম জি এইচ গ্র“পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস আহমেদের কাছ থেকে এ চেক গ্রহণ করেন।এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তহবিল থেকে ৩৫ কোটি টাকা এবং প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে ২১ কোটি টাকা অনুদান গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তি, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন বেসরকারি ও সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবন নির্মাণ তহবিলে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন। অনুদান গ্রহণ এখনও অব্যাহত আছে। উল্লেখ্য, এ জাদুঘর নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১শ’ ৫ কোটি টাকা।মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর বলেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রথম ট্রাস্টি যারা ছিলেন তারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিলেন না। প্রাথমিক উদ্যোগ নেয়ার পর অনেকেই এগিয়ে এসেছেন এবং কাজটি আর শুধুমাত্র ট্রাস্টি বোর্ডের হাতে থাকেনি। এটি আজ গণমানুষের অংশগ্রহণে গণমানুষের প্রতিষ্ঠান হিসেবেই নির্মিত হচ্ছে।
সংস্কৃতিমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবাহি এ জাদুঘর ইতিহাসের সাথে আমাদের এক সেতুবন্ধন তৈরি করছে। এতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটবে।তিনি দেশের বিভিন্ন গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে থাকে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক সংগ্রহের জন্য সবার সহযোগিত কামনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন তারিক আলী জানান, ২০০৮ সালে সরকার আগারগাঁও-এ স্থায়ী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণের জন্য ০.৮২ একর জায়গা বরাদ্দ দেয়। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর উক্ত জায়গার মূল্য বাবদ নিজস্ব তহবিল থেকে ১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা পরিশোধ করে। ২০০৯ সালে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভবনের নকশা নির্বাচন করা হয়। ২০১১ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাদুঘরের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর ¯’াপন করেন। জাদুঘর নির্মাণকাজের অগ্রগতি বর্তমানে প্রায় ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী এর শুভ উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত অনুদানের টাকায় ভবন নির্মাণ তহবিলে এপর্যন্ত ৭৮ কোটি টাকার সংস্থান হয়েছে।মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আলী যাকের, অন্যান্য ট্রাস্টিবৃন্দ এবং এমজিএইচ গ্র“পের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।