দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৭ মে: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আসামি শামসুদ্দোহা (৯০) চিকিত্সাধীন অবস্থায় বুধবার মারা গেছেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন। শামসুদ্দোহার বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালীতে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ফরমান আলী জানিয়েছেন, শামসুদ্দোহা দুপুরে মারা গেছেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, শামসুদ্দোহাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৫ মে বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। তিনি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিত্সাধীন ছিলেন।হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য শামসুদ্দোহার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে।মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত ২১ মে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ১৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। ২৪ মে ভোররাতে শামসুদ্দোহাকে গ্রেফতার করা হয়। ট্রাইব্যুনালে সোপর্দ করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।এদিকে, গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের ফাঁসির সাজা পাওয়া এক আসামি অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।মঙ্গলবার রাতে মারা যাওয়া ওই আসামির নাম মো. নুরুল ইসলাম হাওলাদার (৬২)। তার বাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুর থানার বরমীকাঠি গ্রামে।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের ডেপুটি জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ জানান, নুরুল ইসলাম ঢাকার শ্যামপুর থানার একটি নারী নির্যাতন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি এ কারাগারে ছিলেন।বুধবার সকালে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।কারা কর্মকর্তা শরীফ বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে নুরুল ইসলাম হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাজউদ্দীন মেডিকেলে নেওয়া হলে রাত ১০টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।তাজউদ্দীন মেডিকেলের আবাসিক চিকিৎসক আবদুস সালাম সরকার বলেন, সম্ভবত ওই ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
Discussion about this post