দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৯ জুন: সরকার চাইলে মানবতাবিরোধী অপরাধে কিশোরগঞ্জের হাসান আলীর মৃত্যুদণ্ড গুলি করে কার্যকর করতে পারবে। আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ ঘোষণা করা রায়ে এ কথা বলা হয়েছে। তবে সরকার চাইলে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়েও রায় কার্যকর করতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।হাসান আলীর বিরুদ্ধে আনা ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যেও বেঞ্চে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়।
তিনটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং দুটি অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।হাসান আলী বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।হাসানের বিরুদ্ধে আনা ছয়টি অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে খালাস; ২, ৫ ও ৬ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।এর মধ্যে ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে গণহত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড এবং ২, ৫ ও ৬ নম্বর অভিযোগে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার দায়ে হাসান আলীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায় শেষে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘একাত্তরে হত্যা ও গণহত্যা দুটিতে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরে সরকার গুলি করে, নয়তো ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করতে পারবে। আমরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।অন্যদিকে, রাষ্ট্র কর্তৃক নিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস শকুর খান সাংবাদিকদের বলেন, হাসান আলীর বাবা মোসলেহ উদ্দিনের অপরাধের শাস্তি তাঁকে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনার সময় হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন না। পিতার অপরাধের শাস্তি পুত্রকে দেওয়া ঠিক হয়নি।রায়ে বলা হয়, আসামির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এর মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ অভিযোগে ২০ জনকে হত্যা, অপহরণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের দায়ে হাসান আলীকে দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড।দ্বিতীয়, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অভিযোগে অপহরণ, হত্যা ও লুটপাটে জড়িত থাকার দায়ে আসামিকে দেওয়া হয় আমৃত্যু কারাদণ্ড। আর অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় প্রথম অভিযোগ থেকে হাসান আলীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।বিচারক বলেন, ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা মৃৃত্যুপর্যন্ত গুলি চালিয়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। স্থানীয় শান্তি কমিটির নেতার ছেলে হাসান আলী একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার রাজাকার কমান্ডার।পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় রাজাকার সদস্যদের নিয়ে তিনি যেসব যুদ্ধাপরাধ সে সময় ঘটান, তাতে এলাকায় তার নাম হয়ে যায় রাজাকারের দারোগা ও রাজাকার ওসি।ট্রাইব্যুনালের এই রায়ের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা যাবে। তবে সেই সুযোগ নিতে হলে হাসান আলীকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।৬৮ বছর বয়সী এই যুদ্ধাপরাধী এখন কোথায় আছেন, সে বিষয়ে আদালতকে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ বা প্রসিকিউশন।
ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত আসা ১৯টি রায়ের মধ্যে চারটি মামলায় মোট পাঁচজন পলাতক আসামির সাজার আদেশ হল। এদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আজাদ, একাত্তরের দুই বদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীন, ফরিদপুরের রাজাকার কমান্ডার জাহিদ হোসেন খোকনের মৃত্যুদণ্ড এবং জাতীয় পার্টির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল জব্বারের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় আসে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাছিহাতা গ্রামের সৈয়দ মুসলেহ উদ্দিন ও ফাতিমা বানুর ছেলে সৈয়দ মো. হাসান আলী, ওরফে হাছান আলী, ওরফে হাচেন আলীর জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৮ অগাস্ট।মুসলেহ উদ্দিন ১৯৩৬ সালে কিশোরগঞ্জে এসে হযরতনগর এলাকায় আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসা খোলেন। তিনি ছিলেন ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। ১৯৫২ সালে যখন নেজামে ইসলামী পার্টি গঠিত হলে মুসলেহ উদ্দিন হন দলের সাধারণ সম্পাদক। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ছিলেন পূর্বপাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান।প্রসিকিউশনের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের মানুষ যখন স্বাধীনতার জন্য প্রাণ বাজি রেখে লড়তে শুরু করেছে, হাসানের বাবা তখন পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেন এবং পত্রপত্রিকায় তার বিবৃতিও প্রকাশিত হয়।
পাকিস্তানের সহযোগিতায় শান্তি কমিটি গঠিত হলে মুসলেহ উদ্দিন কিশোরগঞ্জ মহকুমা কমিটির চেয়ারম্যান হন। বাবার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অখণ্ড পাকিস্তানের ধারণা মাথায় নিয়ে হাসানও সে সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন বলে মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়।এতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানা সদর দখল করে ক্যাম্প বসায়। হাসান আলী তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেন। পরে তিনি কিশোরগঞ্জ মহকুমার তাড়াইল থানায় রাজাকার কমান্ডার হন।প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, হাসান আলী তার সহযোগীদের নিয়ে তাড়াইল থানার বিভিন্ন এলাকা এবং কিশোরগঞ্জে ব্যাপক মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান। মুক্তিযুদ্ধের সময় হিন্দু ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন।মামলার পূর্বাপর: ২০১৩ সালের ৬ জুন হাসান আলীর যুদ্ধাপরাধ মামলার তদন্ত শুরু করে প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থা। তদন্ত শেষে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হরি দেবনাথ গত বছর ১৯ জুন প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেন।ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ গতবছর ২১ অগাস্ট হাসান আলীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেন। ২৪ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল তা আমলে নেয়।
পরোয়ানা জারির পরও পুলিশ হাসান আলীকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে তাকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দেয় প্রসিকিউশন। তাতেও তিনি হাজির না হওয়ায় বিচারক আসামির অনুপস্থিতিতেই মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলেন।আসামির পক্ষে মামলা লড়ার জন্য গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় খরচে আব্দুস শুকুর খানকে আইনজীবী নিয়োগ দেয় ট্রাইব্যুনাল।এরপর ১১ নভেম্বর যুদ্ধাপরাধের ছয় ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে হাসান আলীর বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।গতবছর ৭ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত আসামির অনুপস্থিতিতেই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা হরি দেবনাথসহ ২৬ জন।
পলাতক হাসান আলীর পক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষী ছিলেন না।দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরু হয়। ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি প্রথম রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ আসে। পলাতক থাকায় তিনি আপিলের সুযোগ পাননি।৫ ফেব্র“য়ারি দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যা প্রত্যাখ্যান করে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নেয় হাজার হাজার মানুষ।যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সেই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে জনতার দাবির মুখে সরকার ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধন আনে।
এর মধ্যে দিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে দুই পক্ষেরই আপিলের সমান সুযোগ তৈরি হয়। ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ এ মামলার চূড়ান্ত রায়ে কাদের মোল্লাকে প্রাণদণ্ড দেয়, যা কার্যকর করা হয় ১২ ডিসেম্বর।ট্রাইব্যুনালের তৃতীয় রায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারি জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশ হলে দলটির ঘাঁটি বলে পরিচিত এলাকাগুলোতে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসেবেই পুলিশসহ নিহত হয় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ।ওই রায়ের বিরুদ্ধে সাঈদী আপিল করলে গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর দেইল্যা রাজাকার নামে খ্যাত এই জামায়াত নেতার সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
২০১৩ সালের ৯ মে ট্রাইব্যুনালের চতুর্থ রায়ে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকেও মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। গতবছর ৩ নভেম্বর আপিলের রায়েও তার সর্বোচ্চ সাজা বহাল থাকে। তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় ১১ এপ্রিল।মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উসকানির দায়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াত আমীর গোলাম আযমকে ২০১৩ সালের ১৫ জুন ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। এটি ছিল ট্রাইব্যুনালের পঞ্চম রায়।রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি চলার মধ্যেই গতবছর ২৩ অক্টোবর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৯২ বছর বয়সী জামায়াতগুরু।
২০১৩ সালের ১৭ জুলাই ষষ্ঠ রায়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।ওই বছর ১ অক্টোবর সপ্তম রায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রামের সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় আসে। তারা দুজনই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছেন।২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় আদালত। যুদ্ধাপরাধের দণ্ড ভোগের মধ্যে ৮৩ বছর বয়সে গতবছর ৩০ অগাস্ট মারা যান আলীম।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর ১১ মাস কারাবন্দি অবস্থায় হাসপাতালের প্রিজন সেলে ছিলেন তিনি।বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে একাত্তরের দুই বদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। তারা দুজনেই পলাতক।দশম রায় আসে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর। জামায়াত আমির একাত্তরের বদর প্রধান মতিউর রহমান নিজামীকেও দেওয়া হয় সর্বোচ্চ সাজা, যিনি বাঙালি জাতিকে সমূলে ধ্বংস করতে স্বেচ্ছায় ও সচেতনভাবে ইসলামের অপব্যবহার করেন বলে রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়। তিনিও এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।
একাদশ রায়ে গতবছর ২ নভেম্বর চট্টগ্রামের আলবদর কমান্ডার মীর কাসেম আলীকে আদালত মৃত্যুদণ্ড দেয়। জামায়াতে ইসলামীর এই শুরা সদস্যকে দলটির প্রধান অর্থ যোগানদাতা বলা হয়ে থাকে।এরপর ১৩ নভেম্বর ফরিদপুরের রাজাকার কমান্ডার পলাতক জাহিদ হোসেন খোকন ওরফে খোকন রাজাকারের ফাঁসির আদেশ আসে।২৪ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাকার কমান্ডার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মোবারক হোসেনকেও আদালত মৃত্যুদণ্ড দেয়।গতবছর ২৩ ডিসেম্বর এরশাদ আমলের টওতিমন্ত্রী ও একাত্তরে হবিগঞ্জের মুসলিম লীগ নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে আদালত সর্বোচ্চ সাজার আদেশ দেয়।এরপর ৩০ ডিসেম্বর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির আদেশ আসে।চলতি বছরের প্রথম রায়ে জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির আব্দুস সুবহানকেও একই সাজা দেওয়া হয়।ট্রাইব্যুনালের সপ্তদশ রায়ে গত ২৩ ফেব্র“য়ারি জাতীয় পার্টির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পলাতক আবদুল জব্বারকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় আদালত।আর সর্বশেষ গত ২০ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুকেও আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
Discussion about this post