দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৫ জুলাই ২০১৫: মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃতু্যদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর আপিলে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে৷রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ দিন ধার্য করে৷ আদালতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে আদালত যুক্তি তুলে ধরেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এএসএম শাহজাহান৷তিনি সাকার বিরুদ্ধে দেয়া ২, ৩ নম্বর সাক্ষিদের দেয়া সাক্ষ্যের অসমাঞ্জস্য বিষয় নিয়ে আদালতে শুনানি করেন৷ পরে শুনানি শেষে আদালত আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত এ মামলার কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন৷
এর আগে গত ১৬ মে আদালতে সালাউদ্দিন কাদেও চৌধুরীর পক্ষে আপিল শুনানি শুরু করেন তার প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন৷ট্রাইবু্যনালে মৃতু্যদণ্ডাদেশ পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সাকার আইনজীবীরা৷ আপিল আবেদনে মোট ১ হাজার ৩২৩ পৃষ্ঠার নথিপত্রে বিভিন্ন ডকুমেন্টসহ ২৭টি গ্রাউন্ড রয়েছে৷
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃতাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনাল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃতু্যদণ্ড দেন৷ বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ২৩টি অভিযোগের মধ্যে চারটিতে (অভিযোগ নং- ৩, ৫, ৬ ও ৮) তাকে ওই শাস্তি দেয়া হয়৷ এছাড়া তিনটি (অভিযোগ নং-২,৪ ও ৭) অভিযোগে তাকে ২০ বছরের ও দুটি (অভিযোগ নং- ১৭ ও ১৮) অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়৷রায় ঘোষণার সময় কাঠগড়ায় বসেই স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে নানা তীর্যক মন্তব্য করেছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী৷ হাসিমুখে একবার বলেছিলেন, ‘যেটা পড়া হয়নি সেটা পড়েন, পড়ে চলেন বাড়ি যাই৷বাকি অভিযোগগুলো প্রমাণিত না হওয়ায় সেসব অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়৷২০১১ সালের ১৪ নভেম্বর সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছিল প্রসিকিউশন৷ ওই বছরের ১৮ নভেম্বর ওই অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইবু্যনাল৷ এরপর ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ২৩টি অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়৷
Discussion about this post