দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর ২০১৫: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক পাকিস্তানের সাথে ঢাবির কোনো সম্পর্ক থাকবে না ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাকিস্তানে কোনো ছাত্র প্রতিনিধিও পাঠানো হবে না।একইসাথে পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা ও জাতিসংঘ এবং সার্ক থেকে পাকিস্তানের সদস্যপদ বাতিল করার সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন উপাচার্য। স্বাধীনতা চত্বরে বিজয় র্যালি ও সমাবেশে এ আহ্বান জানিয়ে সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানান তিনি। মঙ্গলবার সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে উপাচার্যের নেতৃত্বে কলাভবন প্রাঙ্গণে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
স্বাধীনতা চত্বরে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সমাবেশস্থলে উপাচার্য উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। র্যালিতে প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন,কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের বিপুল সংখ্যক সদস্য অংশগ্রহণ করেন। ৩০ লক্ষ শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগণিত শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে উপাচার্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এবং বিজয় অর্জিত হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে পাকিস্তানিরা বিভিন্ন ধরনের অন্যায়-অত্যাচারে লিপ্ত ছিল ও ঠান্ডা মাথায় অত্যন্ত নির্মমভাবে বুদ্ধিজীবীসহ অনেক সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ ছিল বিশ্ব সভ্যতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আজ তারা নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে। অথচ পাকিস্তান কর্তৃক গঠিত হামিদুর রহমান কমিশনেই গণহত্যার দালিলিক তথ্য-প্রমাণ রয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, এহেন বিবৃতি একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ। এর পর পাকিস্তানিদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার কোনো সুযোগ নেই। তাই অবিলম্বে পাকিস্তানের সাথে সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হোক। সার্ক থেকে পাকিস্তানের সদস্যপদ বাতিল করা হোক। মানবাধিকারের প্রবক্তা জাতিসংঘ থেকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে বহিষ্কারের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক। এই দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের, ছাত্রদের, বাংলাদেশের সকল জনগণের।’সবশেষে স্বাধীনতা চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করেন মুক্তির গান, বিজয়ের গান।
Discussion about this post