দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫: ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে একাত্তরে গণহত্যার শিকার শহীদদের নাম ও বৃত্তান্ত সংগ্রহের নির্দেশনা চেয়ে করা একটি রিট আবেদন হাই কোর্টের সাড়া পায়নি।বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ সোমবার আবেদনটি শুনে উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয়।স্বাধীনতা যোদ্ধা অধিকার ফোরাম নামের এক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন সিকদার গত ১৮ নভেম্বর এই রিট আবেদন করেন। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাসনাত কাইয়ূম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। পরে তাপস বলেন, আদালত রিট আবেদনটি উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছে।অন্যদিকে হাসনাত বলেন, এখন রিট আবেদনটি অন্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে একাত্তরের গণহত্যার শিকার শহীদদের নাম ও বৃত্তান্ত সংগ্রহে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয় রিট আবেদনে। এতে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও আইন সচিবকে বিবাদী করা হয়।আইনজীবী হাসনাত বলেন, বহু রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। এর ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই শহীদদের নাম ও বৃত্তান্ত সংগ্রহের তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এখনও সেসময়কার প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ জীবিত আছে। কিছু দিন পর তাদেরও পাওয়া যাবে না। এসব যুক্তিতে শহীদদের নামের তালিকা ও বৃত্তান্ত সংগ্রহের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করা হয়।
এদিকে, ঝালকাঠি জেলার ১৯১ মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৬০ দিনের মধ্যে এসব মুক্তিযোদ্ধাকে গেজেটভুক্ত করতে হবে।হাইকোর্টের জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মাহমুদুল হক এর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।আদালতে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার গালিব আমিজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুকুমার বিশ্বাস।ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম জানান, ৩০ মে ২০০৬ সালে ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে রাজাপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাকি তিন জেলার মুক্তযোদ্ধারা ২০১১ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রিটের প্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
Discussion about this post