দৈনিকবার্তা-তানোর, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫: যথাযগ্য মর্যাদায় ১১ডিসেম্বর মহান তানোর দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পাটি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, জাসদ, ও বাসদের উদ্দ্যোগে পৃথক পৃথক ভাবে তানোর গোল্লা পাড়া বাজারের গোড়াউনের পার্শে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তাবক অর্পণ করা হয়েছে। প্রথমে তানোর আন্দোলনের সংগঠন ও নাগরিক ঐক্যের জেলা আহবায়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী, তানোর আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও পাঁচন্দর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার সাইদুর রহমান, তানোর আন্দোলনে বীর শহীদ এরাদ আলীর ভাই এরশাদ আলী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দোয়া মোনাজান করেন।
পরে বাংলাদেশ ওর্য়াকার্স পার্টির জেলা সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, সাধারণ সম্পাদক সামশুজ্জোহা, রাজশাহী মহানগর সম্পাদক দেবাশীষ প্রামানিক, কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাডভোকেট এমদাদুল হক বাবু, জেলা যুবমৈত্রীর সভাপতি মনিরুদ্দিন পান্না, মহানগর নেতা তৈয়বুর রহমান, আব্দুল মতিন ও তানোর থানা যুবমৈত্রীর সভাপতি আবু বক্করসহ ২শতাধিক নেতাকর্মীরা শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এসময় জাসদ ও বাসদের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ শেষে তানোর থানা মোড়ে পথসভায় বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গ, ১৯৭৩ সালের ১১ই ডিসেম্বর তৎকালিন সরকার তানোরের প্রগতিশীল কৃষক আন্দোলনের নেতা এরাদ আলী, এমদাদুল হক মুন্টু মাষ্টার ও রশিদসহ ৪৪ নেতা-কর্মীকে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করে তানোর গোল্লাপাড়া বাজারের গোডাউনের পার্শে জীবন্ত মাটি চাপা দিয়ে হত্যা করে। সেই থেকে তাদের স্মৃতি চারণে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, জাসদ, বাসদ ও বাংলাদেশ ওর্য়াাকার্স পার্টির নেতা-কর্মী ও স্বজনরা পৃথক ভাবে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের আতœার মাগফেরাৎ কামনা করেন। সেই থেকেই ১১ডিসেম্বর তানোর দিবস পালন করছে। #
Discussion about this post