দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫: একাত্তরে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের দোসরদের সহায়তায় এ দেশের যে মেধাবী সন্তানদের হত্যা করেছিল, সেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে জাতি। মহান শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার সকালে রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের স্মরণে বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
সকাল ৮ টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহীদ বেদীর সামনে কিছুক্ষণ নিরবে দাড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিউগলে করুন সুর বাজানো হয়। শহীদদের সম্মানে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাক ও দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপসহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এরপর জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী এবং ডেপুটি স্পীকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।পরে একে একে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানায় কেন্দ্রীয় ১৪ দল, শহীদ পরিবারের সন্তান ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা। তিন বাহিনীর প্রধান, মন্ত্রীসভার সদস্য ও সংসদ সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকেও বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো হয়।পরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ হলে বিভিন্ন সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের বেদী উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এ সময় বিভিন্ন সংগঠন সারিবদ্ধভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।স্বাধীনতা লাভের আগ মুহুর্তে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের এ দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর আলবদর, আল শামস ও রাজাকাররা জাতিকে মেধাশূন্য করতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেন্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের রাতের আাঁধারে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।এ নির্মম হত্যাকান্ডের মাত্র দু’দিন ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পন করে এবং পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানিয়ে চলে যাওয়ার পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়। জাতীয় পাতাকা আর শ্রদ্ধার ফুল হাতে নানা বয়সের হাজারো মানুষ জড়ো হন শহীদ বেদীতে।সকাল সাড়ে ৮টার পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে। আর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুল দেন ১০টা ২০ মিনিটে।বিকাল ৩ টা ৫০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে হত্যা করে। এই হত্যাকণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনীর সদস্যরা।পরে শরীরে নিষ্ঠুর নির্যাতনের চিহ্নসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজার এলাকায়। পরে তা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।সেই রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদীও সকাল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষের ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে।
ঘাসের ডগায় জমে আছে হেমন্তের শিশির। তেমন শীত নেই। তবু মনে হলো, হালকা শীতছোঁয়া সকালে আড়মোড়া ভাঙেনি অনেকের। রাজধানীর রাস্তাজুড়ে প্রায় নিরবতা। খটকা লাগল। নিরবতা কেন? রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে গিয়েই তা বোঝা গেল। এখানে লোকে লোকারণ্য। কুঁড়ি থেকে পাপড়ি, কচি-বুড়ো সবাই এসেছেন। সবার হাতে ফুলে। বুকে কালো ব্যাচ। মুখে দাবি, যারা নৃশংসভাবে জাতির সূর্যসন্তানদের হত্যা করেছিল তাদের কঠোর শাস্তি যেন হয়।প্রতিবছরই ফুলভারে শ্রদ্ধার্পিত হয় শহীদবেদি। থাকে ভারাক্রান্ত মন। তবে এবার হারানোর বেদনার সঙ্গে আনন্দও যেন আছে। কিছুদিন আগেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে দুজন যুদ্ধাপরাধীর। সেই কলঙ্কমুক্তির আনন্দ যেন সবার চোখেমুখে ছড়িয়ে আছে। রোববার মধ্যরাত থেকেই রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নির্মিত শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মানুষ আসতে থাকে। রাত ১২টা ০১ মিনিটে স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে ফুল দিয়ে ও মোমবাতি জ্বালিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। এ সময় অগণন মোমবাতির আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে স্মৃতিসৌধ চত্বর।
রায়েরবাজারে আবার শ্রদ্ধা জানানোর পর্ব শুরু হয় সোমবার সকাল ৮টা থেকে। ফুলে ফুলে ঢেকে যায় স্মৃতিসৌধের বেদি। সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমী কায়সার, ডা. আবদুল আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের ছেলে তৌহীদ রেজা নূরসহ বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষেরা।শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বিনশ্র শ্রদ্ধার সঙ্গে শহীদবেদিতে ফুল দেন পরিবারের সদস্যবৃন্দ। ফুলেল শ্রদ্ধা শেষে তারা বেদির সামনে দাঁড়িয়ে তারা এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।
বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসে হৃদয়-ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. আলিম চৌধুরীর কন্যা ড. নুজহাত চৌধুরী। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি বলেন, এখানে আমাদের বাবারা শুয়ে আছেন। এখানে আসলে খুব কষ্ট হয়। এখানকার শিশুদের দেখলে বাবাদের কথা মনে পড়ে। অন্যদিকে শ্রদ্ধা জানাতে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধেও বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষের ঢল নামে। ভোর থেকেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও সদস্যরা শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সেখানে।
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের হাতে ছিল ফুলের তোড়া আর মুখে ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি। অনেকে বুকে ধারণ করেছেন কালো ব্যাচ। শ্রদ্ধা জানানোর পর অনেকেই গেয়েছেন দেশের গান। তাদের চোখে দীপ্তি, কণ্ঠে দেশপ্রেমের নির্মল সুর।শ্রদ্ধা জানাতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম রানা বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। বাঙালিকে মেধাশূন্য করার চক্রান্তের অংশ হিসেবে যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে সেইসব কুলাঙ্গার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি জানাই।রানার মতো একই দাবি করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহাবুবুল আলম। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ কীভাবে হয়েছে তা আমি দেখিনি। একাত্তরের চেতনা ধারণ করে আমরা এসেছি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে।শ্রদ্ধা জানাতে এসে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান প্রতিশ্র“তি দেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু করেছি। এই বিচার শেষ করব। পলাতক যুদ্ধাপরাধীদের দেশে এনে বিচারের সম্মুখীন করব।কিছুদিন আগেই দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এতে আনন্দ ও কলঙ্কমুক্তির কথা জানিয়েছেন তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা। নৌ পরিবহনমন্ত্রীর এ আশ্বাসে তৃপ্ত নন তারা। তাদের দাবি, খুব দ্রুত যেন তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হয়। না হলে এই আপন আলোয় আলোকিত মানুষগুলোর আত্মা শান্তি পাবে না। আর এ জাতি কখনোই যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করবে না।
এদিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে জনতার স্রোত বাড়তে থাকে। স্মৃতিসৌধ চত্বরের দক্ষিণ পাশে বিশালাকার ডিজিটাল প্রিন্টে মুক্তিযুদ্ধের ছবি ও সংবাদপত্রের কাটিং পদর্শনীর আয়োজন করা হয়। উত্তর পাশে বসানো হয় বুদ্ধিজীবীদের প্রতিকৃতি। একাত্তরে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বধ্যভূমিতে যেভাবে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল, অভিনয়ের মাধ্যমে সেই প্রতীকী দৃশ্য রচনা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানায় খেলাঘরের সদস্যরা। সেখানে ইটের স্তূপ দিয়ে তৈরি করা প্রতীকী বধ্যভূমিতে রক্তমাখা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মরদেহ সেজে শুয়েছিল শিশুরা। এ সময় খোলা জায়গায় সারিবদ্ধভাবে রাখা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ছবি।
রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমির দক্ষিণ প্রাঙ্গণে মূল বেদির পাশে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চন্দ্রালোক ও সূর্যালোক খেলাঘর আসরের শিশুরা এ প্রতীকী বধ্যভূমি রচনা করে। স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসা হাজারো মানুষকে সেখানেও শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়। সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ব্যতিক্রমধর্মী এ আয়োজন করে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর। স্থানীয় ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার তারেকুজ্জামান রাজিব প্রতীকী বধ্যভূমিতে অংশ নেয়া শিশুদের জলপান করিয়ে এ আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।একাত্তরে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে এই বধ্যভূমিতে যেভাবে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল- অভিনয়ের মাধ্যমে মূলবেদীর পাশে সেই দৃশ্যের রচনা করে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সদস্যরা। অনেকেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে রায়েরবাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন। স্মৃতিসৌধ মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পদচারণায়।
Discussion about this post