দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫: বুধবার মহান বিজয় দিবস। এ দিনটি হচ্ছে বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিবস। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেয়ার দিন।জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃতে নয়মাস সশ্র¯্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।যে অস্ত্র দিয়ে বর্বর পাকবাহিনী দীর্ঘ নয় মাস ত্রিশ লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছে, দু’লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছে সেই অস্ত্র পায়ের কাছে নামিয়ে রেখে এক রাশ হতাশা এবং অপমানের গ্ল¬ানি নিয়ে লড়াকু বাঙালির কাছে পরাজয় মেনে নেয়। সেই থেকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালিত হয়ে আসছে।
দেশের শ্রেষ্ঠসন্তান বুদ্ধিজীবী এবং একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে এই সস্তি নিয়ে আগামীকাল কৃতজ্ঞ জাতি সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করবে দেশের পরাধীনতার গ্লানি মোচনে প্রাণ উৎসর্গ করা বীর সন্তানদের। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল নামবে। শ্রদ্ধার সাথে তারা শহীদের উদ্দেশে নিবেদন করবেন পুষ্পাঞ্জলি। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সব প্রান্তের মানুষ অংশ নেবে বিজয় দিবসে। বঙ্গবন্ধুর বজ্র নিনাদ ভাষণ আর মুক্তিযুদ্ধের সময়ের জাগরণী গানে আকাশ-বাতাস হবে মুখরিত।এবারের বিজয় দিবস পালিত হবে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। শোক আর রক্তের ঋণ শোধ করার গর্ব নিয়ে উজ্জবিত জাতি দিবসটি পালন করবে অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে। অফুরন্ত আত্মত্যাগ এবং রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই মহান বিজয়ের ৪৪ বছর পূর্ণ হবে কাল।মহান বিজয় দিবসে ঊপলক্ষে পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় সংসদে বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদ দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এ ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া , জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, ওয়ার্কার্সপার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।মহান বিজয় দিবসের বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, দেশে এখন মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নেই ও বর্তমান পরিস্থিতি যেন ‘ভয়ঙ্কর নৈরাজ্যময়’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে বিপদমুক্ত করতে’ মহান বিজয় দিবসের প্রেরণায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।তিনি ১৯৭১ সালে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত হলেও চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত আজো বিদ্যমান। চক্রান্তকারীরা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে গ্রাস করে আমাদেরকে একটি পদানত জাতিতে পরিণত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত। ওই ‘অশুভ শক্তি’ নানাবিধ চক্রান্তজাল রচনা করে আমাদের বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বিপন্ন করে চলেছে।তিনি আরও অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির প্রহসনের একতরফা নির্বাচন’ করে জনমতকে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। ক্ষমতা জবরদখলকারীরা আক্রমণ চালিয়ে গণতান্ত্রিক শক্তিকে নির্মূল করার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ ‘অশুভ শক্তির নীলনকশা বাস্তবায়নে রক্তপাতের ওপরই নির্ভর করা হচ্ছে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান বিএনপি নেত্রী। সকলের অব্যাহত সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন তিনি বিজয় দিবস সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোর প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে। রাতে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় করা হবে আলোকসজ্জা। হাসপাতাল, কারাগার ও এতিমখানাগুলোতে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। সংবাদপত্র বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে, বেতার ও টিভি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘যার যা কিছু আছে’ তা নিয়েই স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন ‘ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। পরে ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালিরা অস্ত্র হাতে পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই মুক্তিযুদ্ধে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, ভুটান, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সাহায্য-সহযোগিতা করে। অবশেষে বাঙালি দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে বুকের উষ্ণ রক্তে রাঙিয়ে রাত্রীর বৃন্ত থেকে ছিনিয়ে আনে ফুটন্ত সকাল।
বিজয়ের এই ৪৪ বছর অনেক চরাই-উতরাই পেরিয়েছে জাতি। কখনো সামনে এগিয়েছে, আবার পিছিয়ে গেছে নানা রাজনৈতিক টানাপোড়নে। তবুও হতোদ্যম হয়নি জাতি। বিলম্বে হলেও শুরু হয়েছে ইতিহাসের দায়-মোচনের প্রচেষ্টা। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার সম্পন্ন হয়েছেÑ চলছে একাত্তরের মানবতা বিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। এর মধ্যে একাত্তরের মানবতা বিরোধী-যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লা , কামারুজ্জামান , আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ , সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে । এ ছাড়াও হার না মানা বাঙালি অর্থনৈতিক-সামাজিক এবং ক্রীড়াতেও উড়াচ্ছে বিজয় নিশান।
কর্মসূচি : প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তববক অর্পণের মাধ্যমে একাত্তরের শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবেন।বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদ অনুরূপভাবে সাভারে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবেন। সকাল দশটায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হবে বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ । এতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বুধবার সকাল ৮টায় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির উদ্যোগে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে।বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে এ সময় পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। এরপর সকাল ৯টায় শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দেবেন খালেদা জিয়া।এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে একই দিন বেলা ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি বের হবে।এছাড়াও বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, সিপিবি, ওয়াকার্স পার্টি, গণফোরামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়, বাংলা একাডেমী, শিল্পকলা একাডেমি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ রাজধানীর বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করবে।
এর মধ্যে আছে সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।আওয়ামী লীগের দু’দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারাদেশের সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৬টা৩৪ মিনিটে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন। সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল সাড়ে দশটায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।দুপুরের আগে ঢাকা মহানগর অর্ন্তগত সকল থানা ও শাখা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও জাতীয় সংসদ সদস্যগণ স্ব স্ব এলাকা থেকে বিজয় র্যালিসহ পাক হানাদারদের আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক স্থানে সমবেত হবেন এবং সেখানে স্থাপিত শিখা চিরন্তনে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের সময় বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অবিমুখে বিজয় মিছিল।
পরের দিন ১৭ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।দলের সাধারণ সম্পাদক এবং জন প্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আজ এক বিবৃতিতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য দেশের সকল শাখা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।এদিকে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৬টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ঢাকার পুরাতন বিমান বিন্দর (রানওয়ের দক্ষিণ প্রান্ত) জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ৩১ বার তোপধ্বনি, সকাল ১০টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ (রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন) অনুষ্ঠিত হবে।বেলা ২ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সেনাবাহিনীর বাদক দল, সদরঘাট এলাকায় নৌ বাহিনীর বাদক দল, মিরপুর ২ নং জাতীয় ষ্টেডিয়াম এলাকায় বিমান বাহিনীর বাদক দল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার সম্মিলিত বাদক দলের বাদ্য পরিবেশন।
এ ছাড়া বেলা ২ টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ঢাকা সদর ঘাঁট, নৌ ইউনিট পাগলা নেভাল জেটি, নারায়নগঞ্জ নেভাল জেটি, নিউমুরিং, চট্টগ্রাম বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাঁট, খুলনা নেভাল বার্থ, দিগরাজ, মংলা, বাগেরহাট ও বিআইডব্লিউটিএ জেটি, রকেট ঘাঁট, বরিশাল নৌবাহিনীর জাহাজসমূহ সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে উপাচার্য ভবনসহ প্রধান প্রধান ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত এবং সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে যাত্রা।
বিজয় দিবস উপলক্ষে টিএসসি, কলা ভবন, ও কার্জন হলে আলোকসজ্জা করা হবে। ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছায়ানটের উদ্যোগে বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে বিজয় উৎসব। বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জাতীয় সংগীত গাইতে গাইতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ৪০ মিনিট ধরে চলবে এই অনুষ্ঠান। আয়োজনে অংশ নেবে ছায়ানট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগসহ দেশের প্রায় ৪ হাজার নবীন-প্রবীণ শিল্পী।সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয় হলসমূহে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চিত্র প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া, বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদ ও উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া করা হবে।
Discussion about this post