দৈনিকবার্তা-গোপালগঞ্জ, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আইন না থাকলে নতুন আইন তৈরি করে যুদ্ধাপরাধীদের তাদের স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওরা ’৭১-এর পরাজয়ের গ্লাণি এখনও ভুলতে পারেনি। তাই তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানা মন্তব্য করে থাকে। তিনি বলেন, তাদের আস্ফালনের জবাব দিতে যুদ্ধাপরাধীদের শুধু বিচারই নয়, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে।
তিনি শনিবার দুপুরে কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনতার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।কাশিয়ানী উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলরের কমান্ডার এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে উপজেলার বধ্যভূমি সংলগ্ন রেলওয়ে মাঠে অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমান্ডের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদীর গামা, সহ-সংগঠনিক সম্পাদক এস এম মজিবুর রহমান, সদস্য মিয়া মুজিবুর রহমান, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুর হক নুরুজ্জামান, যুদ্ধকালিন কমান্ডার ক্যাপ্টেন নুর মোহাম্মদ বাবুল, গোপালগঞ্জ জেলা কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর, কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোক্তার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা এস এম মোহসীন আলী প্রমুখ।
মোজাম্মেল হক বলেন, জিয়াউর রহমান মুজিবনগর সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করতে চায়নি। তিনি ওয়্যার-কাউন্সিলর করে যুদ্ধ করতে চেয়েছিলেন।মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান সে সময় মোস্তÍাক ও তার সঙ্গীদের নিয়ে ভারতে বসে পাকিস্তানের সাথে আপোস করতে চেয়েছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আতœ-স্বীকৃত খুনিদের নিরাপদে দেশ ত্যাগের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাস করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বন্ধ করে রেখেছিলেন। জিয়া যুদ্ধাপারাধী আব্দুর রহমান বিশ্বাসকে রাষ্ট্রপতি ও শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। এ সব অপকর্মের জন্য জিয়াউর রহমানেরও মরণোত্তর বিচার করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী জামায়াত নিষিদ্ধ করার কথা উল্লেখ করে বলেন, যুদ্ধাপরাধীর দল জামায়াতে ইসলাম। তাদের এদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। ৪৪ বছর পরও তাদের স্বভাব পরিবর্তন হয়নি। তারা জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। অচিরেই তাদের দল নিষিদ্ধ করা হবে।মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন কল্যাণের কথা উলে¬খ করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ভাতা ১০ হাজার করা হয়েছে। আগামী ঈদ থেকে তাদের দুইটি করে বোনাস দেয়া হবে। আর আগামী জুন মাস থেকে মু্িক্তযোদ্ধাদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ ফ্রি করা হবে।মন্ত্রী আরো বলেন, সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৭০৫ টি যুদ্ধ ক্ষেত্রে একই ডিজাইনে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া গণ-কবরগুলো সংরক্ষণ করা হবে।
Discussion about this post