• বঙ্গবন্ধু
  • আমাদের পাতা
  • মতামত
  • বিজ্ঞাপন
  • যোগাযোগ
Friday, May 23, 2025
  • Login
No Result
View All Result
মুক্তিযোদ্ধা নিউজ
  • রাজনীতি
  • মুক্তিযোদ্ধা
    • বীর মুক্তিযোদ্ধা
    • প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা
  • সাহিত্য পাতা
    • মুক্তিযুদ্ধ
    • মুক্তিযুদ্ধের গল্প
    • ছবি গ্যালারি
    • ভিডিও গ্যালারি
  • প্রজ্ঞাপন
  • মুক্তিযোদ্ধা অনুসন্ধান
মুক্তিযোদ্ধা নিউজ
  • রাজনীতি
  • মুক্তিযোদ্ধা
    • বীর মুক্তিযোদ্ধা
    • প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা
  • সাহিত্য পাতা
    • মুক্তিযুদ্ধ
    • মুক্তিযুদ্ধের গল্প
    • ছবি গ্যালারি
    • ভিডিও গ্যালারি
  • প্রজ্ঞাপন
  • মুক্তিযোদ্ধা অনুসন্ধান
No Result
View All Result
মুক্তিযোদ্ধা নিউজ
No Result
View All Result
Home Common

১৯৭১ পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক বছর

Syed Refaquat RAJOWAN by Syed Refaquat RAJOWAN
2016-03-25 07:52:28
in Common, মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি
1 min read

10১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ‘কালরাত’ সৃষ্টির জন্য পাকিস্তানের তৎকালীন রাজনীতিকদের দোষারোপ করেছে সে দেশের সেনাবাহিনী। তারা বলেছে, রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবে করতে ব্যর্থ হয়ে ওই রাতে পূর্ব পাকিস্তানে ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর মাধ্যমে সামরিক হস্তক্ষেপের পথ বেছে নেওয়াটাই কাল হয়েছে। আর এ জন্য দায়ী নিজেদের অতিক্ষমতাবান মনে করা কিছু রাজনীতিক, যাঁরা ওই বছর সামরিক শাসন জারির পক্ষে ছিলেন এবং পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

১৯৭১ সালের যুদ্ধ প্রসঙ্গে এমনই মূল্যায়ন করা হয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে ‘যুদ্ধের ইতিহাস’ অংশে। মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের ওই বছরকে পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মান্তিক বছর হিসেবে অভিহিত করেছে সে দেশের সেনাবাহিনী। তাদের মূল্যায়ন হলো, ‘ত্রুটিপূর্ণ জাতীয় কৌশল ও কর্মকৌশল ছিল রাজনৈতিক ও সামরিক উভয় ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের জন্য বিপর্যয়কর। শক্তি, জাতীয় ও কর্মকৌশল, সংকট ও সংঘাত ব্যবস্থাপনার উপায় এবং যুদ্ধে উচ্চস্তরের নির্দেশনা—১৯৭১ সালে এসব অনুপস্থিত ছিল।’

RelatedPosts

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলা

তৃতীয় ধাপে ১২ হাজার ১১৬ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ

২০ হাজার টাকা করে সম্মানী পাবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা

মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ছে

একাত্তরের ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দানবীয় নিষ্ঠুরতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর। পাকিস্তানি সেনারা হামলে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ ও সংলগ্ন এলাকা, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ও আশপাশের এলাকায়। কারফিউ জারি করে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় জনবসতিতে। হকচকিত মানুষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে। মধ্যরাতে ঢাকা হয়ে ওঠে লাশের শহর।

বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও ওই রাতেই গ্রেপ্তার করে পশ্চিম পাকিস্তানের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেপ্তারের আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। হকচকিত বাঙালি সে রাতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিরোধ যুদ্ধে। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আর অনেক ধ্বংসযজ্ঞের পর বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় নতুন রাষ্ট্র—বাংলাদেশ।

ওই যুদ্ধের পর রাজনৈতিক ও সামরিক দায় নিরূপণে পাকিস্তান সরকার গঠিত হামুদুর রহমান কমিশনের প্রতিবেদনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সংখ্যালঘু, সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, গণকবর দেওয়ার তথ্য স্থান পেয়েছিল। কিন্তু এসব কুকর্ম আর অন্যায়কে পুরোপুরি চেপে গিয়ে ‘প্রতিকূল’ পরিস্থিতিতে নিজেদের বীরত্বের কথাই ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রচার করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। নিজেদের বীরত্বের বিভিন্ন বর্ণনা দিলেও শেষ পর্যন্ত ‘বিদ্রোহী’ ও ‘ভারতের অনৈতিক হস্তক্ষেপের’ কারণে হঠাৎ করেই পূর্ব পাকিস্তান হাতছাড়া হওয়ার তথ্য তুলে ধরেছে তারা।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার আবদুর রহমান সিদ্দিকী তাঁর ‘ইস্ট পাকিস্তান : দ্য এন্ডগেম’ গ্রন্থে লিখেছেন, ১৯৭০ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩১৩টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। কিন্তু পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোর চাপে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করেছিলেন। এর প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেছিল। পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল গুল হাসান খানসহ অধিকাংশ জেনারেল পাকিস্তান পিপলস পার্টিকে সমর্থন করে শেষ পর্যন্ত সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।

পাকিস্তানের সাবেক সেনা কর্মকর্তা এবং ১৯৭১ সালে একজন মেজর হিসেবে ঢাকায় দায়িত্ব পালন করা সিদ্দিক সালিক তাঁর ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ গ্রন্থে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে সামরিক অভিযান প্রসঙ্গে লিখেছেন, পরিকল্পনার প্রথম ধাপে ছিল ২৬ মার্চ বড় সব শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এবং এরপর এক মাসের মধ্যে সব বিরোধী, রাজনৈতিক বা সামরিক ব্যক্তিদের নির্মূল করা।

১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫ মার্চের মধ্যে ১০ হাজার জনকে হত্যা করা হয় এবং এর মধ্যে ঢাকাতেই পাঁচ থেকে সাত হাজার। সেদিন সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে ১০ হাজার থেকে এক লাখ জনকে হত্যার খবর প্রকাশিত হয়। ১৯৭১ সালের ১ এপ্রিল নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় অপরাশেন সার্চলাইট চলাকালে ৩৫ হাজার জনকে হত্যা করা হয়েছে।

১৯৭৭ সালে পাকিস্তান ডিফেন্স জার্নালের এক নিবন্ধে বলা হয়, বাঙালিরা পাকিস্তানি সেনা অভিযানের বিরুদ্ধে যে এতটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে তা পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকরা ধারণাও করেননি। পাকিস্তানি বাহিনী ওই অপারেশনের মাধ্যমে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে নৃশংসতা ও হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। এর ফলে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাংলাদেশি শহীদ হন। দায় এড়াতে পাকিস্তান বরাবরই এ সংখ্যাকে অস্বীকার করে আসছে।

১৯৭১ সালের যুদ্ধ নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে ব্যর্থ হয়ে নিজেদের অতি ক্ষমতাবান মনে করা কিছু রাজনীতিকের গড়া সামরিক সরকার ২৫-২৬ মার্চ রাতে পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক হস্তক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছিল ব্যাপক পরিসরে। ১৯৭১ সালের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের ফ্লাইটযোগে দুটি ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন এবং অস্ত্রসহ বেসামরিক সশস্ত্র বাহিনীকে শ্রীলঙ্কা হয়ে প্রায় পাঁচ হাজার মাইল বিরামহীন পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল।’

পাকিস্তানি বাহিনী হিমশিম খেয়েছে : পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, প্রতিকূল পরিস্থিতি, জলবায়ু ও ভূখণ্ডগত বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে পর্যাপ্ত রসদ ও চিকিৎসাসেবা না থাকা সত্ত্বেও তাদের সাহসী ও একনিষ্ঠ সৈনিক, নাবিক ও বিমান সেনাদের সুবাদে মে মাস নাগাদ পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। অক্টোবর মাসের দিকে ভারতের অনৈতিক সামরিক হস্তক্ষেপ যখন ব্যর্থ হতে চলছিল, ঠিক তখনই তারা পাকিস্তানি বাহিনীর চেয়ে চার গুণ বেশি শক্তি নিয়ে যোগ দেয়। ভারতীয় বাহিনীর ১২টিরও বেশি ডিভিশনের (চার লাখ) সঙ্গে পাঁচটি ট্যাংক রেজিমেন্ট এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর দ্বারা প্রশিক্ষিত ও অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত প্রায় ৫০ হাজার কর্মী এ সময় যোগ দেয়। পাকিস্তানি বাহিনীর চারটি গানবোট, আটটি চায়নিজ কোস্টার এবং দুটি ল্যান্ডিং ক্রাফটের বিপরীতে তাদের সহায়তায় ছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার, আটটি ডেস্ট্রয়ার/ফ্রিগেট, দুটি সাবমেরিন ও  তিনটি ল্যান্ডিং ক্রাফট। অন্যদিকে ঢাকাকেন্দ্রিক পাকিস্তানের একমাত্র এয়ারফিল্ডভিত্তিক এফ-৮৬এফ সাবেরের ১৪তম স্কোয়াড্রনের বিপরীতে পূর্ব পাকিস্তান ঘিরে পাঁচটি এয়ারফিল্ডে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ছিল ১১ নম্বর স্কোয়াড্রন—চারটি হান্টার, একটি এসইউ-৭, তিনটি জিনেট ও তিনটি মিগ ২১।

ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি সেনারা : ১৯৭১ সালের নভেম্বর নাগাদ পাকিস্তানি সেনারা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। তাদের ওয়েবসাইটে ১৯৭১ সালের যুদ্ধ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘২১ নভেম্বর ঈদের দিন আমাদের সেনারা প্রায় ১০ মাস ধরে অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা ও এক মাস রোজা রেখে যখন ক্লান্ত তখন ভারতীয় সেনারা আমাদের পূর্ব, পশ্চিম এবং পূর্ব পাকিস্তানের উত্তরে মোট ২১টিরও বেশি স্থানে হামলার সাহস পেল। গুপ্তবাহিনী (গেরিলা), সাঁজোয়া (আরমার), কামানের (আর্টিলারি) সহায়তা নিয়ে ভারতের ডিভিশন আমাদের ব্রিগেড অবস্থানগুলোতে আক্রমণ করল; ব্রিগেডগুলো আক্রমণ করল আমাদের ব্যাটালিয়ন, কম্পানি ও প্লাটুন অবস্থানগুলোতে।’

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, ভারতের এসব হামলা পাকিস্তানি বাহিনীর অবস্থান টলাতে পারেনি, উল্টো ভারতীয় বাহিনীই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের আগে যশোর ছাড়া অন্য কোনো শহর দখল নিতে পারেনি বলে তাদের দাবি। অবশ্য যশোর হাতছাড়া হওয়াকে ‘কৌশলগত কারণে প্রতিরোধ করা হয়নি’ বলে দাবি পাকিস্তানের।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আরো দাবি, ভারতের বাহিনী আক্রমণ শুরুর পর পাকিস্তানি সেনাদের সবচেয়ে ভালো সময় এসেছিল। কারণ দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া পাকিস্তানি সেনারা তখন ব্যাপক হতাহত হলেও নতি স্বীকার করেনি। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, চারপাশে অবরুদ্ধ হওয়ার পরও পাকিস্তানি কমান্ডারদের আত্মসমর্পণ করানো যায়নি। পাকিস্তানের আরো দাবি, ভারতীয় বাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর পাকিস্তানি বাহিনী যখন পাল্টা আক্রমণ করতে যাচ্ছিল তখন ভারত জাতিসংঘে গিয়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়।

অথচ ঐতিহাসিক সত্য হলো, তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানই প্রথমে আক্রমণ করেছিল, পাকিস্তানই যুদ্ধবিরতি চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের অনুরোধে রাশিয়া তাতে ভেটো দেয়। কিন্তু ভারত ও তার মিত্রদের কারণে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতিকে ‘আত্মসমর্পণে’ রূপান্তর করা হয় বলে দাবি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর।

সশস্ত্র বাহিনীর প্রচারপত্রেও একক দায় অস্বীকার : পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাগাজিন হিলাল-এ বিভিন্ন সময় ১৯৭১ সালের যুদ্ধ নিয়ে বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলোতে যুদ্ধে পরাজয়ের জন্য এককভাবে সামরিক বাহিনীকে দায়ী করাকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করা হয়। পাশাপাশি তারা নিজে থেকেই পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা চালানোর মতো বিষয়টি তুলে ধরে এটি তথ্য-প্রমাণভিত্তিক নয় বলে দাবি করে থাকে।

হিলাল ম্যাগাজিনে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ‘পুরাকথা ও বাস্তবতা ১৯৭১’ শীর্ষক এক নিবন্ধ লেখেন ইসলামাবাদের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরশি সালিম হাশমি। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানিদের জন্য ভালো কোনো স্মৃতি বয়ে আনেনি। এই দিনেই আমরা আমাদের দেশের অর্ধেক হারিয়েছি। ১৯৭১ সাল থেকে অনেক কিছু প্রকাশিত হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রাজনৈতিক ও সামরিক ব্যক্তিত্বদের দায়ী করা হয়েছে এবং তা আজও চলছে।’ হামুদুর রহমান কমিশনের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি লিখেছেন, কেবল সামরিক কারণেই পাকিস্তানের পরাজয় হয়নি; এটি ১৯৪৭ ও ১৯৭১ সালের মধ্যে সংঘটিত বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার ক্রমবর্ধমান ফল। ১৯৭১ সালের বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটের বাস্তবভিত্তিক বিশ্লেষণের বদলে ওই সময়ের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে দোষারোপের পথ বেছে নেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। পাকিস্তানের সমালোচকরা কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে বর্বরতার জন্য দোষারোপ করছেন বলে তাঁর দাবি। তিনি মনে করেন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক পর্যায়ে ভুল সিদ্ধান্ত এবং আওয়ামী লীগ, মুক্তিবাহিনী ও ভারতের ভূমিকা বিশ্লেষণ করা ছাড়াই ‘পক্ষপাতদুষ্ট অপপ্রচারে’র ভিত্তিতে জনমনে জোরালো ধারণা সৃষ্টি হয়েছে।

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে শাসনপ্রক্রিয়ায় সমস্যা ছিল বলে তিনি স্বীকার করলেও পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতাকে অতিরঞ্জিত হিসেবে তিনি উপস্থাপন করেছেন।

Tags: ১৯৭১ পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক বছর
Share9Tweet6Share2
Previous Post

মৃত্যু পরোয়ানা জারীর পর প্রথমবারের মতো নিজামীর সঙ্গে দেখা করলেন তার স্ত্রী-সন্তানরা ॥

Next Post

জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

Syed Refaquat RAJOWAN

Syed Refaquat RAJOWAN

Editor In Chief Muktijoddha NEWS and Doinikbarta (http://doinikbarta.com)

Discussion about this post

Popular News

  • সহজ শর্তে ‘মুক্তিযোদ্ধা গৃহনির্মাণ ঋণ’ প্রতিবেদন চূড়ান্ত

    সহজ শর্তে ‘মুক্তিযোদ্ধা গৃহনির্মাণ ঋণ’ প্রতিবেদন চূড়ান্ত

    9140 shares
    Share 5434 Tweet 1544
  • অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি জামুকার সহকারী উপপরিচালক বরখাস্ত

    6894 shares
    Share 3575 Tweet 1383
  • মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ছে

    4839 shares
    Share 1936 Tweet 1210
  • লাল মুক্তিবার্তায় নাম থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই লাগবে না

    3902 shares
    Share 1561 Tweet 976
  • বিনা সুদে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা করে ঋণ পাবেন মুক্তিযোদ্ধারা।

    4340 shares
    Share 2323 Tweet 840
  • বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের নতুন আদেশ

    2608 shares
    Share 1043 Tweet 652
  • মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নতুন করে নাম এলো যাদের

    2690 shares
    Share 1140 Tweet 646
  • ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রকাশ

    2489 shares
    Share 996 Tweet 622
  • মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানি ২০ হাজার টাকা করার সুপারিশ

    2260 shares
    Share 904 Tweet 565
  • অনলাইনে মিলবে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ৩৮ সেবা

    3229 shares
    Share 2010 Tweet 508

Recommended

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আছদ্দর আলী চৌধুরী স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আছদ্দর আলী চৌধুরী স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

5 years ago

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পোষ্যদের ব্যাংকঋণের তহবিল বৃদ্ধি

7 years ago

আগামীকাল মহান বিজয় দিবস

8 years ago

২৩ মার্চ পাকিস্তানের জাতীয় দিবসে টিভিতে জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয়নি

10 years ago

মুক্তিযোদ্ধা

Category

  • Common
  • অপরাধ
  • ছবি গ্যালারি
  • প্রজ্ঞাপন
  • প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা
  • বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • মতামত
  • মুক্তিযুদ্ধ
  • মুক্তিযুদ্ধের গল্প
  • মুক্তিযোদ্ধা
  • মুক্তিযোদ্ধা অনুসন্ধান
  • মুক্তিযোদ্ধা নিপীড়ন
  • যুদ্ধাপরাধ
  • রাজনীতি
  • সশস্ত্র বাহিনী
  • সাহিত্য পাতা
  • স্বাস্থ্য ও চিকিত্‍সা

Site Links

  • Log in
  • Entries feed
  • Comments feed
  • WordPress.org

About Us

দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের প্রজন্মের সকল খবরাখবর নিয়ে আমাদের এই প্রচেষ্টা, বাংলাদেশের সর্ব প্রথম এবং একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম। সাথে থাকুন, অংশগ্রহণ করুন, চলুন একসাথে এগিয়ে যাই।।

  • বঙ্গবন্ধু
  • আমাদের পাতা
  • মতামত
  • বিজ্ঞাপন
  • যোগাযোগ

© 2020 মুক্তিযোদ্ধা নিউজ - বাংলাদেশের সর্ব প্রথম এবং একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম। by i-Bangla Limited.

No Result
View All Result
  • রাজনীতি
  • প্রজ্ঞাপন
  • মুক্তিযোদ্ধা
    • বীর মুক্তিযোদ্ধা
    • প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা
  • সাহিত্য পাতা
    • মুক্তিযুদ্ধ
    • মুক্তিযুদ্ধের গল্প
    • ছবি গ্যালারি
    • ভিডিও গ্যালারি
  • মুক্তিযোদ্ধা অনুসন্ধান

© 2020 মুক্তিযোদ্ধা নিউজ - বাংলাদেশের সর্ব প্রথম এবং একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম। by i-Bangla Limited.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Create New Account!

Fill the forms bellow to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In