আইন অনুসারে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোনো সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ। এজন্য ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত, রায় কার্যকরকারী জল্লাদ টিম তৈরি, তাদের নিয়ে দু’দফায় ফাঁসির মহড়া দিয়ে রেখেছে কারা কর্তৃপক্ষ। কারাগারের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করে যান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।ফাঁসির পর নিজামীর মরদেহ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মন্মথপুর গ্রামের বাড়িতে নিতে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হবে বলেও জানান ওই কারারক্ষী। আমির মতিউর রহমান নিজামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়েছেন স্বজনেরা। কারাগারের ভেতরে দেড়ঘণ্টার বেশি সময় অতিবাহিতের পর রাত ৯টা ২২ মিনিটে ২৬ সদস্য বের হন। এ সময় কারাফটকের সামনে উপস্থিত সাধারণ জনগণ তাদের প্রতি বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। আইন অনুসারে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোনো সময় নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ। এজন্য ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত, রায় কার্যকরকারী জল্লাদ টিম তৈরি, তাদের নিয়ে দু’দফায় ফাঁসির মহড়া দিয়ে রেখেছে কারা কর্তৃপক্ষ।এর আগে নিয়ম অনুসারে শেষবারের মতো নিজামীর সঙ্গে দেখা করার জন্য পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলো কারা কর্তৃপক্ষ। সেই মোতাবেক নিজামীর সঙ্গে দেখা করতে গেছেন স্বজনেরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে কারাফটকে পৌঁছান নিজামীর ২৬ জন স্বজন। এর ৫/৭ মিনিট পর প্রক্রিয়া শেষে কারাগারের ভেতরে যান তারা।স্বজনদের মধ্যে নিজামীর স্ত্রী শামসুন্নাহার নিজামী, বড় ছেলে ব্যারিস্টার নাজীব মোমেন, মেজ ছেলে ডা. খালেদ, মেয়ে, দুই পুত্রবধূ, চার ভাতিজা, এক চাচা, এক খালা, দুই বোন, এক ভাইসহ মোট ২৬ জন সদস্য ছিলেন। কারাফটকে তাদেরকে নিয়ে আসা গাড়ির ড্রাইভার বিষয়টি জানিয়েছেন।প্রথম গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো -চ ১৬-০২৫৭) ৫ জন, দ্বিতীয় গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো -চ ৫৩-১৪৬৪) ২ শিশুসহ ৭ জন ও তৃতীয় গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো ঘ- ১১-৮৬৩৮) আরো ২ শিশুসহ ১৪ জন আসেন। প্রক্রিয়া শেষে ২৬ জন স্বজনকেই ভেতরে ঢুকতে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
এর আগে সন্ধ্যা ছয়টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর বনানীর জে ব্লকের ১৮ নম্বর রোডের ৬০ নম্বর বাড়ি মিশন নাহার থেকে তিনটি গাড়িতে কারাগারের পথে রওনা হন তারা।এদিকে নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকরকে কেন্দ্র করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রস্তুত করা হচ্ছে চারটি অ্যাম্বুলেন্স। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড এবং হত্যা- গণহত্যা ও ধর্ষণসহ সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব) দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতা নিজামীকে।কারা কর্তৃপক্ষ ডেকে পাঠানোর পর মঙ্গলবার রাতে তিনটি গাড়িতে করে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের স্বজনরা কারাফটকে উপস্থিত হন।
দেখা করতে তাদের ডেকে পাঠানো ইঙ্গিত দিলেও তার আধা ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নিশ্চিত করেন মঙ্গলবারই কার্যকর হচ্ছে দণ্ড।নিজামী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে কোনো আবেদন না করায় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্বাহী আদেশ কারা কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয় বলে জানান মন্ত্রী।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে দণ্ড কার্যকরের তোড়জোড়ের মধ্যে বিকালে নিজামীর আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ স্বজনদের কারাগারে ডেকে পাঠিয়েছে।এরপর পৌনে ৮টায় তিনটি গাড়িতে নিজামীর স্বজনদের মধ্যে অন্তত ২৬ জন কারাফটকে উপস্থিত হন। এর মধ্যে জামায়াত নেতার স্ত্রী, দুই ছেলে রয়েছেন। অন্যদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।গত বৃহস্পতিবার রিভিউয়ের রায় খারিজের পরদিন কাশিমপুর কারাগারে নিজামীর সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর রোববার জামায়াত আমিরকে ঢাকার কারাগারে আনা হয়।তার তিন দিনের মধ্যে ফের দেখা করতে ডাক পেলেন পরিবারের সদস্যরা। মৃত্যুদণ্ডের আসামিদের স্বজনদের সঙ্গে শেষ দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়। এর আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি নিজামীকে রিভিউ খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় সোমবার শোনানো হয়।বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও নেতৃত্ব দেওয়ার দায়ে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে একাত্তরের আলবদর নেতা নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে এই বছরের ৬ জানুয়ারি আপিল বিভাগের রায়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখা হয়। তা পুনর্বিবেচনায় নিজামীর আবেদন গত ৫ মে খারিজ হয়ে যায়।ওই রায় সোমবার প্রকাশের পর শুরু হয় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া। মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চারটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারারক্ষী জানান, কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে চারটি অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা পেলে অ্যাম্বুলেন্স চারটি কারাগারের সামনের বকশিবাজার আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে রাখা হবে।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড এবং হত্যা-গণহত্যা ও ধর্ষণসহ সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব) দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতা নিজামীকে।মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডে কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
চানখারপুল, চকবাজার ও বকশীবাজার থেকে কারাফটকের সামনের রাস্তায় যাওয়ার সব পথে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।এ ছাড়াও নাজিমুদ্দিন রোডের সব দোকান-পাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক শুভঙ্কর জানান, কারাগারের সামনের ও আশপাশের রাস্তায় সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে পারলেও কোনো যান চলাচল করতে পারবে না।ফাঁসির রায় কার্যকরকে কেন্দ্র করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।এ দিকে নিজামীর ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করে দু’দফায় ফাঁসির মহড়া দিয়ে রেখেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার ও নড়াইল কারাগার থেকে এনে দশ জল্লাদের একটি টিমও তৈরি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে মনোনীত সাতজন নিজামীর ফাঁসি কার্যকরে অংশ নেবেনকারাফটকের আশপাশের এলাকায় র্যাব -১০ ও চকবাজার থানা পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে। তুলে দেওয়া হয়েছে কারাগারের মূল ফটকের বাইরে থাকা অস্থায়ী দোকান।
এ বিষয়ে চকবাজার থানার পরিদর্শক ( পেট্রোল) কৃষ্ণপদ সরকার বলেন, কারাগারের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারে আমরা কাজ করছি। পাশাপাশি এ এলাকার রাস্তা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। র্যাব-১০ এর ধলপুর ক্যাম্পের টহল টিমের ডিএডি মো. আবেদ আলম বলেন, কারাফটকের সামনে দু’টি টহল টিমের দায়িত্ব পালন করছি। এদিকে পুরো কারাগার এলাকায় র্যাবের আরও দু’টি টহল টিম নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।এদিকে কারাগারের মূল ফটকের ভেতরে কারাবন্দিদের স্বজনদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।তবে কারাফটকের সামনে নাজিমুদ্দিন রোডে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।এর আগে মঙ্গলবার সকালে নিজামীর ফাঁসি রায় কার্যকরের প্রস্তুতি নিয়ে একটি বৈঠক করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. ইকবাল, কারাগারের সিনিয়র েেজল সুপার জাহাঙ্গীর কবির,জেলার নেসার আলমসহ বেশ কয়েকজন কারা কর্মকর্তা। কারাগারের ভেতরে ঢুকে পরিদর্শনও করেন তারা।গণমাধ্যমের যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য কারাগারের পাশে নবকুমার মাঠে ব্যবস্থা করেছে চকবাজার থানা পুলিশ।
যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মতিউর রহমান নিজামী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেননি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তোড়জোড়ের মধ্যে মঙ্গলবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে মন্ত্রী একথা জানিয়েছেন।আসাদুজ্জামান কামাল একইসঙ্গে বলেছেন, ক্ষমা না চাওয়ায় নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে নির্বাহী আদেশ কারা কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে।স্বজনদের ডেকে পাঠানো এবং কারাফটকে নিরাপত্তা জোরদারের মধ্যে মঙ্গলবার নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ইঙ্গিত মিললেও কোনো স্পষ্ট ঘোষণা দিনভর পাওয়া যাচ্ছিল না।রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় এই রাতেই দণ্ড কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর কবির সন্ধ্যায় কারা অভ্যন্তরে যাওয়ার পরপরই কারাগারের ভেতরে-বাইরে তৎপরতা বেড়ে যায়। এর মধ্যে জামায়াত আমিরের স্বজনদের দেখা করতে ডেকে পাঠানো হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে আসামিকে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়ে থাকে।
নিজামীর রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় গত সোমবার প্রকাশের পর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়।শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগই ছিল এই যুদ্ধাপরাধীর। তিনি ক্ষমা না চাইলে দণ্ড যে কোনো সময় কার্যকর হবে বলে মঙ্গলবার দুপুরেই জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।এর মধ্যে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল হাসান এবং কারা উপ মহাপরিদর্শক গোলাম হায়দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘুরে আসার খবর আসে।তারা কারাগার সংলগ্ন কারা অধিদপ্তরে ফেরার পর বিকাল ৪টার দিকে একটি ব্যাগ নিয়ে জ্যেষ্ঠ কারাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর কবির যান কারা অধিদপ্তরে।এক ঘণ্টা পর তিনি ওই ব্যাগটি নিয়ে পুনরায় কারা অভ্যন্তরে ঢোকার পরপরই গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে আনা জল্লাদ রাজুকে কারাফটক দিয়ে ঢোকাতে দেখা যায়।কারা কর্মকর্তারা জানান, নিজামীর দণ্ড কার্যকরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ নিয়েই ঢোকেন জাহাঙ্গীর কবির।
কারাধ্যক্ষ ঢোকার পরপরই কারাফটক এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যায়। ফটকের সামনে র্যাবের একটি দল বেষ্টনি তৈরি করে, তার সামনে পুলিশ সদস্যরা আরেকটি বেষ্টনি তৈরি করে।
প্রায় ২০০ পুলিশ সদস্যকে কারাগারের বাইরে মোতায়েন রয়েছেন। র্যাবের সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের তৎপরতাও দৃশ্যমান।সাড়ে ৭টার দিকে কারাগারের সামনের সব দোকানপাট বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এরপর মানুষের চলাচলও সীমিত হয়ে যায়।তার ১৫ মিনিট পর নিজামীর স্বজনরা তিনটি গাড়িতে করে কারাফটকে উপস্থিত হন। মৃত্যুদণ্ডের আগে আসামিকে স্বজনদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হয়। দোকানপাট বন্ধের আগেই নাজিমউদ্দিন সড়কে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।চকবাজারের হাজী সেলিম টাওয়ার সামনে রাস্তায়, জেলখানার উত্তর গেটে মাকুর শাহ মাজারের সামনে, মৌলভীবাজার মোড়ে তিনটি ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।ডিএমপির লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, নিজামীর ফাঁসিকে কেন্দ্র করে কারাগারের সামনে সাংবাদিক, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ অনেক মানুষ জড়ো হচ্ছে, তাই নিরাপত্তার স্বার্থে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।কারাগারের সামনে বহু মানুষ ভিড় করেছে। নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারাও রয়েছেন সেখানে।রিভিউ খারিজের রায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি নিজামীকে সোমবার শোনানো হয় বলে কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন।গত বৃহস্পতিবার রিভিউয়ের রায় খারিজের পরদিন কাশিমপুর কারাগারে নিজামীর সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন পরিবারের সদস্য। এরপর রোববার তাকে ঢাকা কারাগারে আনা হয়।বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও নেতৃত্ব দেওয়ার দায়ে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে একাত্তরের আলবদর নেতা নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে এই বছরের ৬ জানুয়ারি আপিল বিভাগের রায়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখা হয়। তা পুনর্বিবেচনায় নিজামীর আবেদন গত ৫ মে খারিজ হয়ে যায়।ওই রায় সোমবার প্রকাশের পর শুরু হয় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া।
Discussion about this post