জামায়াত নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দলটির সব নেতাকে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক নিশান-ই-পাকিস্তান খেতাবে ভূষিত করার জন্য একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে পাঞ্জাবের প্রদেশিক পরিষদ।ওই প্রস্তাবে বলা হয়, পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ফাঁসি হচেছ। তাই তাদের নিশান-ই-পাকিস্তান সম্মাননায় ভূষিত করা উচিত।এছাড়া নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আরেকটি নিন্দা প্রস্তাবও আনা হয় পরিষদে। দুই প্রস্তাবেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে পাক-ভারত যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন শেখ মঙ্গলবার পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে ওই প্রস্তাব তোলেন।এছাড়া নিন্দা প্রস্তাবে পাঞ্জাব পরিষদের বিরোধী দলীয় নেতা মেহমুদুর রশিদ বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান সরকার যাতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থায় যায়- সে বিষয়ে দাবি তোলেন। পাকিস্তানের প্রতি ভালোবাসার কারণেই জামায়াত নেতাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হচ্ছে বলেও দাবি তার।পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল দুনিয়া নিউজ দেশটির জামায়াতের আমির সিরাজুল ইসলামের বরাত দিয়ে জানায়, ভারত সরকারের নির্দেশনাতেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছে।
এর আগে নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তান পার্লামেন্টেও একটি প্রস্তাব পাস হয়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে সে সময় বলা হয়, পাকিস্তানের সংবিধান সমুন্নত রাখাই নিজামীর একমাত্র অপরাধ।একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবী হত্যা, গণহত্যা ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ জড়িত থাকার দায়ে গত ১১ মে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সরকার। এ বিষয়ে আগেও ইসলামাবাদের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্ত ক্ষেপ বলে এর নিন্দা জানায় ঢাকা।বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলাতে বার বার আহ্বান জানানো হলেও পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সদস্য আলাউদ্দিন শেখ মঙ্গলবার পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে ওই প্রস্তাব তোলেন।
এরপর ওই প্রস্তাব প্রাদেশিক পরিষদে গৃহীত হয় বলে পাকিস্তানের দুনিয়া টিভির খবর।ওই প্রস্তাবে বলা হয়, পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ফাঁসি হচ্ছে। তাই তাদের নিশান-ই-পাকিস্তান সম্মাননায় ভূষিত করা উচিত।একাত্তরে বুদ্ধিজীবী গণহত্যা, হত্যা ও ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে গত ১১ মে জামায়াতে ইসলামীর আমির নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় বাংলাদেশে।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নিজামী ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি। সেই সূত্রে তিনি আল বদর বাহিনীরও নেতৃত্ব দেন।
ওই বাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহায়তা দেয় এবং ব্যাপক যুদ্ধাপরাধ ঘটায়। যুদ্ধের শেষভাগে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবী হত্যার নকশা বাস্তবায়ন করা হয় আল-বদর বাহিনীর মাধ্যমেই। আর সেই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা, নির্দেশদাতা হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হন নিজামী।নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের পর পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদেই একটি নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছিল।ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা মেহমুদুর রশিদের আনা ওই নিন্দা প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানের প্রতি ভালোবাসার কারণেই বাংলাদেশে জামায়াত নেতাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে তুলে ধরতে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল ওই প্রস্তাবে।যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধিতা করে পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর প্রধান সিরাজ-উল হক সে সময় বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভারত সরকারের নির্দেশনায় কাজ করছেন।
নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তান পার্লামেন্টেও একটি প্রস্তাব পাস হয়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে সে সময় বলা হয়, পাকিস্তানের সংবিধান সমুন্নত রাখাই নিজামীর একমাত্র অপরাধ।নিজামীর আগে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদ,সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও মো. কামরুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময়ও একই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল পাকিস্তান।ইসলামাবাদের এই প্রতিক্রিয়াকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্ত ক্ষেপ বিবেচনা করে এ বিষয়ে পাকিস্তানের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করা হয় ঢাকার পক্ষ থেকে।
Discussion about this post