ঝিনাইদহে ২৮ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাছে তাদের বাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরোত্বপুর্ন অবদান রাখা সৈনিকদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বাড়ির নাম রাখা হয়েছে ‘বীরনিবাস’। একটি প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইদহ সদর ও মহেশপুর উপজেলায় ৫টি, কালীগঞ্জে ৪টি, কোটচাঁদপুরে ১টি, শৈলকুপায় ১০টি ও হরিণাকুন্ডুতে ৩টি বীরনিবাস নির্মাণ করা হয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের রয়েড়া গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী দুদু মিয়ার স্ত্রী সাহেরা জানান, গ্রামের বাজার সংলগ্ন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিত্যক্ত বীজগুদামে কাটিয়েছেন ১০-১২ বছর। অবশেষে বুঝে পেলেন বীরনিবাস নামের ছোট্ট বাড়িটি। এখানে ২টি শোবার ঘর, রান্নার জায়গা, খাবার জায়গা, ল্যাট্রিন ও একটি মিনি গোয়ালঘর রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া দুদু মিয়ার ছেলে অপু জানায়, নিজেদের জমিতে বাড়ি পেলেও বৈদ্যুতিক সুবিধা না থাকায় তাদের ২ ভাইবোনের পড়াশুনা এবং অন্যান্য পারিবারিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে বিধায় বৈদ্যুতিক সংযোগ জরুরি হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক জানান, ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা আবাসন প্রকল্প নামে একটি প্রকল্পের কাজ সরকার তিন বছর আগে হাতে নেয়। তাদের আবাসিক সমস্যা নিরসনের জন্যই মূলত এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বীরনিবাসের প্রতিটির জন্য ৯ লাখেরও বেশি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। পুরো ব্যয়টাই সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে করা হয়েছে বলে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক জানান।
তবে অভিযোগ উঠেছে সচ্ছল ও প্রভাবশালী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বাড়ি আগে নির্মান করা হয়েছে। দুস্থ ও অসচ্ছল পরিবারদের বাছাই পক্রিয়ায় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে গ্রামের অনেক মুক্তিযোদ্ধা অভিযোগ করেন।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
Image : Jago News
Discussion about this post