যুদ্ধাপরাধীদের হাতে যারা পতাকা তুলে দিয়েছিল তারাও সমান অপরাধী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একদিন তাদেরকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানান তিনি।শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরের শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে নাÑ তাদের চেতনা ধারন করেই দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা হবে এটাই তার সরকারের অঙ্গীকার।
বক্তব্যে ১৯৭১ ও এর পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ও তার পরিবার এবং দলের পরিস্থিতি তুলে ধরে আবেগাপ্লত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।পরে তিনি বলেন, যারা ১৬ ডিসেম্বরে পরাজয় বরণ করেছিলÑ তারাই ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছিল। রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল।স্বাধীনতার পরেও বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে দেয়া হয়েছেÑ বিকৃত করা হয়েছে উল্লেখ করে আগামী প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জেনে বড় হতে পারে সে বিষয়ে সকলকে উদ্যোগী হওয়ার তাগিদ দেন শেখ হাসিনা।মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের পরিবারের কল্যাণে সরকার নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন তিনি আরো বলেন, পর্যায়ক্রমে সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মৃত্যুকে আমি ভয় করি না। সপরিবারে জাতির জনককে হারানোর পর মৃত্যু আমাকে বহুবার তাড়া দিয়েছে।তিনি বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে এবং যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে এদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে তারা সমান অপরাধী। সুতরাং তাদেরও বিচার হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হবার নয়। এ বিচার চলতে থাকবে। যেমন করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিচার আজও চলছে।শহীদের রক্ত বৃথা যায় না এমন বক্তব্যের যুক্তি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেছেন, শহীদদের পথ ছিল সত্য ও সুন্দরের। সত্য ও সুন্দরের পথকে কেউ সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত করতে পারে কিন্তু চিরতরে রুখে দিতে পারে না। আমরা সে পথেই আছি। সুতরাং যতো বাধা-বিপত্তি আসুক জয় আমাদের নিশ্চিত।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে যাব। অচিরেই বাংলাদেশ সে অবস্থানে যাবে।মৃত্যু তাকে বারবার হানা দিয়েছে এমন প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মৃত্যুকে আমি ভয় করি না। সপরিবারে জাতির জনককে হারানোর পর মৃত্যু আমাকে বহুবার তাড়া দিয়েছে। আমি মনে করি মৃত্যু একটি স্বাভাবিক নিয়তি। কেউ তাকে অস্বীকার করতে পারে না। সুতরাং মৃত্যু ভয় দেখিয়ে কেউ কিছু করতে পারবে না। এ শক্তি এদেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগ থেকে পাই। ওরাই আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে।
Discussion about this post