কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক রাজাকার কমান্ডার গাজী মান্নানের জানাজায় ইমামতি করায় করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম মোবারক হোসেন বুলবুলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা আরা বেগম তাকে বরখাস্ত করেন। যু্দ্ধাপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক রাজাকার কমান্ডার আব্দুল মান্নান ওরফে গাজী মান্নান সোমবার ভোরে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে মারা যান। বেলা একটার দিকে পুলিশ প্রহরায় তার মরদেহ করিমগঞ্জের চরপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে আনার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
প্রথমে করিমগঞ্জ কলেজ মাঠে তার নামাজে জানাজা হবে বলে পারিবারিকভাবে পক্ষ থেকে মাইকিং করা হলেও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রতিবাদ করায় সেই সিদ্ধান্ত পাল্টানো হয়। পরে বাড়ির আঙ্গিনায় তার জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম মোবারক হোসেন। বিষয়টি অবহিত করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা আরা ইমাম মোবারক হোসেনকে বরখাস্ত করেন। ইউএনও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১০ সালের ২ মে করিমগঞ্জ উপজেলার আয়লা গ্রামের মিয়া হোসেনের ছেলে গোলাপ মিয়ার বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের ৬নং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
চলতি বছরের ৩ মে রায় ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে আব্দুল মানান, ক্যাপ্টেন (অব.) নাসিরউদ্দিন, অ্যাডভোকেট এ টি এম শামসুদ্দিন ও হাফিজউদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আজহারুল ইমলামকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। দণ্ডিতদের মধ্যে এ টি এম শামসুদ্দিন কারাগারে আটক আছে।
Discussion about this post