দেশের ৯৪টি উপজেলায় একযোগে শুরু হলো মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চেয়ে গত কয়েক বছরে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ আবেদন জমা পড়েছে, যা যাচাই-বাছাই করতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।এর মাধ্যমে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগেই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে মন্ত্রণালয়।
রাজনৈতিক দুষ্টচক্রের আবর্তে স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও নিরূপণ সম্ভব হয়নি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত সংখ্যা। তাই মুক্তিযুদ্ধের সাড়ে ৪ দশক পরও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভিড়ে তালিকা থেকে বাদ পড়তে দেখা যায় সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেয়া অসংখ্য বীর সেনানীকে।
শনিবার সকাল ৯টা উপজেলা কমপ্লেক্সে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। একটানা চলবে বিকাল পর্যন্ত। যাচাই-বাছাইকালে কোনো মুক্তিযোদ্ধা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে সাক্ষ্য দিলে সর্বোচ্চ দুই বছরের জন্য তার সম্মানী ভাতা স্থগিত করা হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রত্যেক জেলার একজন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্যকে প্রধান করে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। মূলত: যারা ২০১৪ সালে অনলাইনে ও সরাসরি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবেদন করেছেন তারা সহ অন্যান্য সব মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এদিকে, সকালে রাজধানীর কেরানীগঞ্জে উপজেলায় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। এ সময় তিনি জানান, দল-মত নির্বিশেষে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে অবশ্যই তালিকাভুক্ত করা হবে।
Discussion about this post