মুক্তিযুদ্ধেআত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যগড়ার শপথ গ্রহণের মধ্যদিয়ে জাতি রোববার ৪৭ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করবে।এ বছর আমাদের মহান স্বাধীনতার ৪৬ বছর পূর্তি হওয়ায় দিবসটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। স্বাধীনতাবিরোধী ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে অনেকের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। বিশেষ করে স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের দাবিতে দেশের তরুণ প্রজন্ম যেভাবে সোচ্চার হয়েছে তা দেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্দ করে দেয়ার লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলার মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে যে বিভীষিকাময় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল, দীর্ঘ ৯ মাসে মরণপণ লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলার দামাল সন্তানেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে সে যুদ্ধে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে।১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে নির্বিচারে বাংলার বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা।সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্র“র বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মূহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় কালরাতের বিভীষিকা: শোষণ মুক্তির মন্ত্রে উদ্দীপ্ত জাতীয় চেতনা দলনে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর সুসজ্জিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ এখনও শিহরিত করে প্রায় অর্ধশত বছর আগের ওই রাতের প্রত্যক্ষদর্শীদের। মুহুর্মুহু গুলি আর কামানের গোলার শব্দে ভয়ার্ত রাত পার হওয়ার পর শহরজুড়ে লাশ আর লাশ দেখতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।ভয়াবহতম যে হত্যাযজ্ঞে দমে না গিয়ে শানিত হয়েছিল বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন, ঘোষিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ, সেই নিষ্ঠুরতার বর্ণনা দিয়েছেন হানাদারদের প্রথম প্রতিরোধকারীসহ গণহত্যার সাক্ষীরা।একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রথম হামলা হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে, এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে হত্যার মিছিল চলে যায় বুড়িগঙ্গার তীরে।সে সময় বয়সে তরুণ পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী মণ্টু মিয়া, মিটফোর্ড হাসপাতালের কর্মচারী আব্দুর রাজ্জাক, জগন্নাথ কলেজের শিক্ষার্থী রঞ্জন বিশ্বাস, শাঁখারী বাজারের ব্যবসায়ী অমর সুর, নীলকান্ত দত্ত ও নয়াবাজারের হাজী ফজলুর রহমান পর্বত শুনিয়েছেন সেই রাতের কথা।ওই রাতে রাজারবাগে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা পুলিশ সদস্যরাও বলেছেন সহযোদ্ধাদের হারানোর কথা।
পুরান ঢাকার বাসিন্দারা কেউ ছাদে উঠে, কেউবা রাস্তার পাশের কোনো ঘরের আড়ালে লুকিয়ে আবার কেউ বন্ধ দোকানে লুকিয়ে থেকে সাক্ষী হন পাকিস্তানি সেনাদের নিষ্ঠুরতার। পরদিন ভোরে বেরিয়ে তারা দেখতে পান হত্যাযজ্ঞের চিত্র। সেই সময়ের ১৬ বছরের আব্দুর রাজ্জাক এখন মিটফোর্ড হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার। একাত্তরে পুরান ঢাকার ইসলামিয়া স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়তেন তিনি, বাবা ছিলেন মিটফোর্ডের ওয়ার্ড মাস্টার।রাজ্জাক জানান, ২৫ মার্চ রাতে কয়েকজন বন্ধু মিলে বুড়িগঙ্গার পাড়ে বসে গল্প করছিলেন। রমেশ, ফারুক, হালিম, বাবু, বাবলা ও বাড্ডা ছিল।হঠাৎ একটি আওয়াজ শুনতে পেয়ে সবাইকে বললাম, ওই থাম কিসের আওয়াজ আসতেছে। চুপ করে সবাই শুনে বললাম, এটা গুলির শব্দ। সবাই বলাবালি করতে লাগলাম কারাবারতো শুরু হয়ে গেল, কী করবা?এরপর সবাই যার যার বাসায় চলে যায়, খেয়ে আবার সবাইকে বেরোতে বলেন রাজ্জাকতিনি বলেন, খাওয়া দাওয়ার পর বের হয়ে দেখি রাস্তা একেবারে ফাঁকা, কেউ নেই। সরু রাস্তা দিয়ে এগোতে লাগলাম এবং শাঁখারিবাজার পর্যন্ত যেতে পারিনি। লায়ন সিনেমা হল পর্যন্ত গিয়ে দেখলাম একটি ট্যাংক বাবু বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে পূর্বদিকে তাক করানো।গুলির আওয়াজ বাড়ছে আর বাড়ছে। মনে হচ্ছে উত্তর থেকে পাক বাহিনী সব মানুষকে হত্যা করে দক্ষিণ দিকে আসছে।
একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা: ওই সময় তার বয়স ১৭ বা ১৮ বছর ছিল জানিয়ে মণ্টু মিয়া বলেন, পরে ভেতর দিয়ে কলতাবাজারে মামার বাসায় যাই, কিন্তু সেখানে কাউকে দেখতে পাইনি। পরে আবার বাকল্যান্ডে ফিরে আসি। কিন্তু সেখানে থাকতে পারিনি। পরদিন আমাদের দোকানও জ¦ালিয়ে দেওয়া দেওয়া হয়। পরে নদী পার হয়ে কেরানীগঞ্জ হয়ে মুন্সীগঞ্জ চলে যাই।বর্তমানে ব্যবসায়ী ৫১ নম্বর শাঁখারি বাজারের অমর সুর ১৯৭১ সালে ছিলেন এসএসসি পরীক্ষার্থী, প্রগোজ স্কুলের ছাত্র ছিলেন তিনি।২৫ মার্চ নিয়ে তিনি বলেন, আমি শুনতে পেলাম জগন্নাথ হল ও রাজারবাগ পুলিশ ক্যাম্পে পাক বাহিনী হামলা করেছে। সেখানে হামলা করে পুরান ঢাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। রাতে আমি ও পরিবারের অন্য সদস্যরা বাসার ছাদে উঠি।রাত ২টার পর পাক বাহিনী আদালত এলাকায় আসে এবং তাদের গাড়িবহর সদরঘাট, কোতয়ালি থানা এলাকায় এবং বাবুবাজারে প্রবেশ করে আর শাঁখারিবাজারে একটি গাড়ি ঢোকে।
চারদিকে তেমন আলো না থাকায় ছাদ থেকে বেশি কিছু দেখা যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু গুলির আওয়াজ শুনতে পেলাম।পরদিন ভোরে শাঁখারিবাজারের পূর্ব পাশে রাস্তায় পাশে একটি পাগলের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন, পাশের রিকশা গ্যারেজের সামনে রিকশায় ছিল এক রিকশাচালকের মৃতদেহ।আর শাঁখারিবাজার সংলগ্ন বাবুবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে দেখি অন্তত দশজন পুলিশের মৃতদেহ ফাঁড়িতে পড়ে রয়েছে। সেখানে আহত এক পুলিশ সদস্যকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।২৬ মার্চ দুপুরে পাক বাহিনী শাঁখারিবাজারে আক্রমণ করে এবং বিভিন্ন বাসা থেকে নানা বয়সী মানুষকে ধরে এনে ৫২ নম্বর শাঁখারিবাজারে নিচতলায় ১৮ জনকে গুলি করে হত্যা করে।
কখন কোথায় হামলা: ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাকিস্তানিসেনাবাহিনীর গাড়িবহর ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হওয়ার খবর যায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে।রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাক বাহিনীর গাড়িবহর শহরে ঢোকার খবর পান তারা।রাত ১১টার একটু আগে পাকিস্তান বাহিনীর গাড়িবহরচামেলিবাগের কাছাকাছি আসে,ডন স্কুলের ছাদে অবস্থান নেওয়াপুলিশের গুলিতে কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হন। ওই সময় পাক বাহিনী পিছু হটে পুলিশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন দিকে অবস্থান নেয় এবং সাড়ে ১১টার দিকে ফের আক্রমণ করে। রাজারবাগের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলসহ বিভিন্ন হলে হত্যাকান্ড চালায় পাক হানাদার বাহিনী।এরপর হামলা হয় পুরান ঢাকায়; রাত ২টার পর পাক বাহিনী আদালত এলাকায় পৌঁছে।তাদের গাড়িবহর সদরঘাট, কোতয়ালি থানা এলাকা এবং বাবুবাজারে প্রবেশ করে, আর শাঁখারি বাজারে একটি গাড়ি ঢোকে।ফজরেরআযানের পর গোলাগুলির শব্দ কমতে শুরু করে। সকালে দেখা যায় লাশ আর লাশ। অমর সুর বলেন, তার তিন বছর বয়সী খালাত ভাই বাবার কোলে ছিল। পাক হায়েনারা ওই শিশুকেও বেয়নেট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে।৪০ নম্বর শাঁখারি বাজারের বাসিন্দা নীল কান্ত, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার রঞ্জন বিশ্বাসও ঘরের ছাদ থেকে ওই রাতের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন। ওই সময় ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠিনক সম্পাদক ফজলুর রহমান পর্বতও একই বর্ণনা দেন।তাদের সবার কথায় উঠে আসে, ওই রাতে পাকিস্তানি বাহিনী সবার আগে আক্রমণ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে, পরে সেখান থেকে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে এবং সবশেষে হামলা হয় পুরান ঢাকায়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২২ জন বেঁচে আছেন।তাদের একজন নেত্রকোণার কেন্দুয়ার শাহজাহান মিয়া বৃহস্পতিবার বলেন, ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাক বাহিনী রাজারবাগে আক্রমণ করে।
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে এবার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীকাল প্রত্যুষে রাজধানীতে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে।সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধারা, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী কূটনীতিকগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ জনগণ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে এবং সরকারি ও বেসরকারি বেতার ও টিভি চ্যানেলে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারিত হবে।এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাক টিকেট প্রকাশ করবে। হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রমসহ এ ধরনের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং রাতে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে।স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগামীকাল সরকারি ছুটির দিন। এদিন রাজধানীর সড়ক ও সড়কদ্বীপ জাতীয় পতাকাসহ নানা রঙের পতাকা দিয়ে সাজানো হবে।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামীকাল ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৬টায় সাভারস্থ জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং সকাল ১১টায় টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। টঙ্গীপাড়ার কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কর্ণেল (অব.) ফারুক খানের নেতেত্ব একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করবে।এছাড়াও দিবসটি স্মরণে আওয়ামী লীগ আগামী ২৭ মার্চ বিকাল সাড়ে ৩টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। সভায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।এ ছাড়াও বিএনপি,জাতীয় পার্টি, জাসদ,বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, গণফোরামসহ বিভিন্ন যুব ও ছাত্র সংগঠন মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে আগামীকাল ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ গৃহীত সকল কর্মসূচিতে দেশবাসীর সাথে একাত্ম হয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য সংগঠনের সকল শাখাসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীসহ সর্বস্তরের জনগণ ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
Discussion about this post