চুয়াডাঙ্গা জেলার মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার মেম্বর হত্যা মামলায় দুই আসামি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা আব্দুল মোকিম ও গোলাম রসুল ঝড়–র ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে রাত পৌনে ১২টায় তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আশরাফ আলী,সিভিল সার্জন গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য,পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, যশোর জেল সুপার কামাল হোসেন,এডিএম মামুন উজ্জামান,জেলর আবুতালেব। ফাঁসি কার্যকরের পর দুজনের লাশ রাতেই পরিবারের সদস্যসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে আজ সকালে মোকিম ও ঝড়–র পরিবারের ৩৫ সদস্য যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে তাদের সাথে দেখা করে।
এদিকে কারাগারের নিরাপত্তার জন্য সন্ধ্যার পর থেকেই গোটা এলাকায় পুলিশ ও র্যাবের পাহারা বাড়ানো হয়। রাতে দুই আসামিকে গোসল করানোর পর তাদের তওবা পড়ান কারা মসজিদের ইমাম রমজান আলী। রাতে স্বজনদের সাথে শেষ সাক্ষাতের পর তাদের খাবার খাওয়ানো হয়।এদিকে দেরিতে হলেও দোষীদের সাজা কার্যকর হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নিহত মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ারের স্বজনরা।কারা সুত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মৃত রবকুল মন্ডলের মেঝো ছেলে মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেনকে ১৯৯৪ সালের ২৮ জুন গ্রামের বাদল সর্দ্দারের বাড়িতে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির কতিপয় চরমপন্থি কুপিয়ে হত্যা করে। ওই দিনই নিহতের ভাই মুক্তিযোদ্ধা অহিম উদ্দীন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ চৌদ্দ বছর পর ২০০৮ সালের ১৭ এপ্রিল এ হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হয়। রায়ে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির দুই আঞ্চলিক নেতা দুর্লভপুরের মৃত মুরাদ আলীর ছেলে আব্দুল মোকিম ও একই গ্রামের মৃত আকছেদ আলীর ছেলে ঝড়ুসহ ৩ জন আসামিকে মৃত্যুদ-াদেশ এবং দুর্লভপুরের মৃত কুদরত আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম ও একই গ্রামের আবু বক্করের ছেলে হিয়াসহ ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়। বাকি ১৬ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।