বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পোষ্যদের আত্মকর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে জন্য আগামী অর্থবছরে টাকার পরিমাণ বাড়ানো হবে। এখন ওই তহবিলে সাড়ে ৩৭ কোটি টাকা দেয়া হলেও পর্যায়ক্রমে ফান্ডের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা করা হবে।
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) মাধ্যমে ওই ঋণ দেয়া হয় বলে জানায় মন্ত্রণালয়। এ ছাড়াও বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহের হালনাগাদ অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগের বৈঠকে সংসদীয় কমিটির রিভলবিং ফান্ড বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উত্থাপিত কাগজপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ১২২ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৩৪ টাকা ব্যয় হয়েছে। এ সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৮৭ হাজার টাকা। বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ব্যয় হয়েছিল ২৯৬ কোটি ৯ লাখ ১৩ হাজার ৩৩৯ টাকা। ওই সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়েছে ১ কোটি ৮৩ লাখ ৪১ হাজার ৪০৭ টাকা।
বৈঠকে আরও উল্লেখ করা হয় যে, ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা ও চিকিৎসা বিলের অর্থ চেকের পরিবর্তে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের স্ব-স্ব অ্যাকাউন্টে পরিশোধের প্রক্রিয়া চালু করা হয়। এতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকায় এসে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা ও চিকিৎসা বিলের চেক সংগ্রহের দীর্ঘদিনের কষ্ট ও আর্থিক ব্যয় লাঘব হয়েছে।
কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, নুরুন্নবী চৌধুরী এবং কামরুল লায়লা জলি অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।