চাকরি ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত কোটায় হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের (পিআইডি) সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। চাকরিপ্রত্যাশীরা কোটা সংস্কারের আন্দোলনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটার মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা। সার্বিকভাবে কোটা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।
এ ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরির বয়সসীমা ৩০ বছর হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে তা ৩২ বছর। একটি অভিন্ন বয়সসীমার দাবিও রয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের। এই আন্দোলন নিয়ে কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আন্দোলনকারীরা এ ব্যাপারে সংসদের দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দাবি করেছেন।
এই পরিপ্রেক্ষিতেই আজ মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে এসে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার ও স্বজনদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টে রিটের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।’ ‘যদিও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে ৩০ শতাংশ মেধা কোটা থেকে পূরণের বিধান করা হয়েছে। তার পরেও মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকবে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এ নিয়ে স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী, মুক্তিযোদ্ধার পরিবার ও স্বজনদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।’