অবসর প্রাপ্ত শিক্ষিকা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল দুলালের ছোট বোন নূরজাহান বেগম জোৎ¯œা ও তার ছেলে পুত্রবধূ,নাতী-নাতনী এবং ছোট ভাই এড্যাভোকেট আব্দুল হামিদ নিজ সম্পত্তি উদ্ধার ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন নুরজাহান বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন বিগত ১২ সালের ৮মে নুরজাহান বেগমের পুত্র মাসরুফুল হাসান জয়নাল নামক এক ব্যাক্তির কাছ থেকে সাড়ে ৪ বিঘা জমি ক্রয় করেন। যার এসএ ৭০৪ এবং আর এস ৩১৫ খতিয়ানের সরকারি সকল খাজনা পরিশোধ ও খারিঁজ করেন। এমতাবস্থায় স্থানীয় প্রভাবশালী সন্ত্রাসীগণ মাসরুফুলের সাড়ে ৪ বিঘা জমি জোর পূর্বক দখল করার জন্য সব সময় নুরজাহান বেগমের পরিবারের উপর নির্মম নির্যাতন শুরু করেন। স্থানীয় এসব প্রভাবশালী মহলের ছত্র-ছাঁয়ায় জেলেম উদ্দিন, বিশু, লালন, ইদ্্িরস, বারেক নামের চিহিৃত সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত নুরজাহান বেগম ও তার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। প্রাণ ভয়ে নুরজাহান বেগম নিজ ভিটা ছেড়ে অন্যত্র বসবাস শুরু করেন। এই পরিবার স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রকার প্রতিকার পাননি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান। খুন, গুমের হুমকি ছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকে নুরজাহান বেগমের বড় ছেলে মাসরুফুল হাসানের নামে নানা প্রকার মিথ্যা মামলায় দেন। বরগুনা জেলায় দায়রা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন ৯ (৪) এর খ ধারার ১৭/১৭ মামলায় ফাঁসিয়ে জেলও খাটান তাকে। এক পর্যায়ে মামলা মিথ্যা বলে প্রমান হলে খালাশ পেয়ে যান মাসরুফুল হাসান। পরর্বতীতে ভুয়া ভাবে একই মামলায় ফরিদা বেগম নামের একজন মহিল বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন ৯ এর (ক) ধারায় ১৭/১৭ মামলা ভুয়া ওয়ারেন্ট বের করে তাকে গ্রেফতার করে জেল খাটানো হয়। বারবার মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা মামলা থেকে নিস্পত্তি পেয়েও মুক্তিযোদ্ধা এই পরিবারকে নানা ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
নুরজাহান বেগম অবৈধ ভাবে জোরপূর্বক ভ’মি আতেœসাৎকারীদের বিরুদ্ধে পাবনা সুজানাগর সহকারি জজ আদালতে মামলা দায়েরও করেছেন। মামলা নম্বার ১০৫/১৮। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। উক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ও একজন মুক্তিযোদ্ধার বোন নিজস্ব সম্পত্তি উদ্ধার এবং পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সরকারের উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।