বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে শোক র্যালি, শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, পুলিশের সশস্ত্র সালাম, কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে এক শোক র্যালির মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করা হয়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক (ডিসি) এমদাদুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ট্রাস্টের সদস্য সচিব আজিজুর রহমান ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শাহাদাতবরণ করেন তিনি। এদিন পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীকে প্রতিরোধ এবং দলীয় সঙ্গীদের জীবন ও অস্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন নূর মোহাম্মদ। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডীবরপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে (বর্তমানে নাম নূর মোহাম্মদনগর) জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মো. আমানত শেখ ও মা মোসা. জেন্নাতা খানম। ডানপিটে নূর মোহাম্মদ পড়ালেখায় বেশিদূর এগোতে পারেননি। স্থানীয় বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত অবস্থায় তার শিক্ষা জীবনের অবসান ঘটে।
এরপর ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নূর মোহাম্মদ তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান রেজিমেন্টে যোগদান করেন এবং কৃতিত্বের সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর দিনাজপুর সেক্টরে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই যশোর সেক্টর হেড কোয়ার্টারে বদলি হয়ে আসেন। পরবর্তীতে তিনি ল্যান্স নায়েক পদোন্নতি পান।