লালমনিরহাটের পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড জুম্মাপাড়া এলাকায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড জুম্মাপাড়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মচারী মৃত আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী সালেহা বেগম এ অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে সুত্রে জানাগেছে, সালেহা বেগমের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মচারী মৃত আব্দুস সাত্তার ৭১’ সালে ট্রেনিং শেষে মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হলে তিনি বাড়ি ফিরেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি গেজেটভুক্ত হন। তার গেজেট নম্বর ৪৮১। মুক্তিবার্তা ও লাল বইতে সিরিয়াল নম্বর ০৩১৪০১০১৬০ এবং ভারতীয় নম্বর ৪৩৩৪৫। যুদ্ধরত সময় আব্দুস সাত্তার তার বাবা আবুল হোসেনের বাড়ি ছিল জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের তালুক দুলালী গ্রামে। দেশ স্বাধীন হলে জীবিকা নির্বাহে লালমনিরহাট পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড জুম্মাপাড়া এলাকায় বসাবস শুরু করেন।
সেখান থেকে তিনি রেলের চাকুরীতে যোগদান করেন। তিনি শুরু থেকেই মুক্তিযুদ্ধা ভাতা পেতেন। কিন্তু একই উপজেলার তালুক দুলালী গ্রামের মৃত আব্দুল সাত্তার তার বাবা জাহা খাঁ নামে এতটুকু মিল থাকায় এক কুচক্রি মহলে পরামার্শে তার পরিবার থেকে মুক্তিবার্তা, লাল বইতে তার নাম রয়েছে দাবি করে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। বিষয়টি ভুলবশত সংশোধন করা হলে মৃত আব্দুল ছাত্তার বাবা জাহা খাঁর পরিবার এক বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধা ভাতা পান।
অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মচারী মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুর সাত্তারের ছেলে শামীম বলেন, যখন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তিন’শত টাকা করে দেওয়া হতো তখন থেকেই আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধা ভাতা পান। বাবার মৃত্যুর পর যখন মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন বেড়েছে ঠিক তখনি এক চক্রমহলের এ চক্রান্তের শিকার হয়েছি। ২০১৭ সালে আমার বাবার ভাতা তারা অভিযোগ দিয়ে বন্ধ করে দেয়। সর্বশেষ যাচাই-বাছাইয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাদের ভাতা ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে আমি জেলা কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি।
লালমনিরহাট জেলা কমান্ডার মেজবা উদ্দিন বলেন, আমরা উভয়ের আপাত ভাতা বন্ধ রেখেছি। তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষেকে দেখা হবে কে আসল মুক্তিযোদ্ধা কে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা।