সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা এই বাংলার মাঠ-ঘাট, এ স্বাধীন দেশে স্বাধীনতা মানে বিশ্বের মানচিত্রে এক লাল সবুজের পতাকা। যে পতাকাকে পেয়ে লক্ষ বাংলা মায়ের দামাল ছেলে দিয়েছে দেহের তাজা প্রাণ। তাদের (শহীদ) আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এ বাংলার স্বাধীনতা। এসব শহীদদের প্রতি সম্মান দেখাতে তৈরী করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ।
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের লাগোয়া স্বাধীনতা যুদ্ধে সুতিকাগার হাটহাজারী উপজেলার নাজিরহাট বাসস্টেশনে এমন ১১ শহীদের একটি স্মৃতিস্তম্ভটি অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে। ইতিমধ্যে খসে পড়েছে ওই স্তম্ভটির চর্তুর পাশের দেওয়ালের চুন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের কোনো মাথাব্যথা নেই বলে দাবী করেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘদিন ওই স্তম্ভটি অবহেলিত থাকার পর বর্তমান সরকার ১১ শহীদের স্মৃতিস্তম্ভটি জেলা পরিষদের সহযোগিতায় নির্মাণ করা হয়। তবে বর্তমানে এ স্তম্ভটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অযতœ-অবহেলায় অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রসঙ্গত, একাত্তরের রণাঙ্গনে পাকবাহিনীর নাজিরহাট, ফটিকছড়ি এবং হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, নাজিরহাট হালদা নদীর সেতু ধ্বংস, হত্যাযজ্ঞসহ নারকীয় কর্মকান্ড চালায়। এ সময় পাকবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে শহীদ হওয়া ১১জন মুক্তিযোদ্ধাকে নাজিরহাট বাসস্টেশনে সমাহিত করা হয়েছিল।