বরিশালে ছয় হাজার ৪৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধার এক মাসের সম্মানী ভাতার প্রায় চার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই তদন্ত কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের এক মাসের ভাতা প্রদানে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইন বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সচিব, বরিশালের জেলা প্রশাসকসহ চারজন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এই আদেশ ও রুল জারি করেন। এর আগে আজ সকালেই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত এই রিট করেন।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি ‘সাড়ে ৬ হাজার মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ‘লোপাট’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বরিশালে ৬ হাজার ৪৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতার প্রায় চার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাবদ এই টাকা মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় করেছে তারা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, তাদের হাতে এই টাকা আসেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গরমিলটা শুরু হয়েছে বরিশালের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে। কিন্তু জেলা প্রশাসন বলছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বাবদ প্রায় চার কোটি টাকা কম দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে বরিশালে চারজন জেলা প্রশাসক বদলি হয়েছেন। কিন্তু আজও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। ভাতাও বুঝে পাননি মুক্তিযোদ্ধারা। পরে ওই প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত।