মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের সরকারদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৪ মার্চ এ মামলায় রানাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করলে গত ২৫ মার্চ রানার জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। আজ আপিল বিভাগে শুনানি শেষে হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
আদালতে রানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও আইনজীবী আতাউল গণি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। পরে জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার মূল আসামি আমানুর রহমান খান রানা বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এদিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাঁদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। পরের দিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়া হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এমপি রানার নির্দেশে যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যার পর তাঁদের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন আসামিরা। এই জোড়া খুনের মামলায়ও রানাকে আসামি করা হয়। তবে গত ৬ মার্চ এ মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।