মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানি ভাতা ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকায় উন্নীত করা প্রস্তাব করা হয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট উত্থাপন শুরু হয়। বাজেট উত্থাপন শেষ হয় পৌনে ৫টার দিকে।
প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মাসিক সম্মানি ভাতা ১০ হাজার টাকা হতে বৃদ্ধি করে ১২ হাজার টাকায় উন্নীত।’ বাজেটে আরও বলা হয়, বয়স্ক ভাতাভোগীদের সংখ্যা ৪০ লাখ থেকে ৪৪ লাখ জনে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী ভাতাভোগীরে সংখ্যা ১৪ লাখ থেকে ১৭ লাখে বৃদ্ধি করা হয়েছে। অচ্ছল প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেওয়ার লক্ষ্যে ভাতাভোগীদের সংখ্যা ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ ৪৫ হাজারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তির সংখ্যা ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ জনে বৃদ্ধি এবং উপবৃত্তির হার বাড়িয়ে প্রাথমিক স্তরে ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৭৫০ টাকা হতে ৮০০ টাকা ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৮৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকায় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়, সব হিজড়াকে অন্তর্ভুক্ত করে হিজড়া জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ণ কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ৬ হাজার জনে উন্নীত করা এবং বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উপকারভোগীর সংখ্যা ৬৪ হাজার থেকে ৮৪ হাজারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির সংখ্যা ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজারে বৃদ্ধি, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ণ কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজারে বৃদ্ধি, দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতাভোগীর সংখ্যা ৭ লাখ থেকে ৭ লাখ ৭০ হাজার জনে বৃদ্ধি, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তার আওতায় ভাতাভোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ ৭৫ হাজারে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অসুস্থতা নিয়েই আজ জাতীয় সংসদে প্রবেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বাজেট উত্থাপন শুরু করার কিছুক্ষণ পর অসুস্থতার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাজেট উত্থাপনের অনুরোধ জানান। পরে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বাজেট উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। দেশের ৪৮ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি।