একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের ১৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সংস্থাটির কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক মো. হান্নান খান। এটি তদন্ত সংস্থার ৭৪তম প্রতিবেদন। এ মামলায় মোট আসামি ১৫ জন। গ্রেপ্তার রয়েছেন পাঁচজন। অন্য ১০ জন পলাতক থাকায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজন হলেন- মো.গিয়াস উদ্দিন খান (৭৭), সৈয়দ বদিউর রহমান ওরফে বনু মিয়া (৭০), মো. উমেদ আলী (৮৭), মো. আবু ছিদ্দিক (৭৫), মো. আব্দুল খালেক (৬২)। এরা তৎকালীন রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বমোট নিহত হয়েছেন ১৩০ জন, আহত হয়েছেন ২০-২৫ জন, ধর্ষণের শিকার হন একজন। এ ছাড়া ২৫-৩০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে।
এ মামলায় ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু হয়। চার খণ্ডে মোট ৩৯০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। আসামিদের মধ্যে গিয়াস জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক, বনু মিয়া ও খালেক আওয়ামী লীগের সমর্থক, অন্য দুজনের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।