একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে পঙ্গুত্ব বরণ করা আরও ৫১ জন পেলেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি।জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৬৫তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের এই স্বীকৃতি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ৩ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
তাদের নিয়ে তালিকাভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাঁড়াল চার হাজার ৫৯৮ জনে। পঙ্গুত্বের মাত্রা অনুযায়ী চারটি শ্রেণিতে মাসে ২৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা ভাতা পাচ্ছেন তারা।
তালিকায় যুক্ত হওয়া ৫১ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হলেন- নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির মো. আব্দুল মতিন, ঢাকা বাড্ডার মো. শফি উল্লাহ, সিলেট গোলাপগঞ্জের মো. আব্দুল মালেক, যশোর কেশবপুরের মো. মোবারক হোসেন, সিলেট সদরের নাথুরাম বণিক, ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী মো. হাবিবুর রহমান, ফরিদপুর সদরের মো. আব্দুল লতিফ, সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জের মো. আজমল হোসেন, বরিশাল সদরের শেখ মো. ইউনুছ।
গাইবান্ধা সদরের মো. সিরাজুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গীর মিরানাথ গোস্বামী, সিলেট বিয়ানীবাজারের আক্তার আলী কুতুবউদ্দিন, দিনাজপুর সদরের কাজী আবদুল মান্নান, মৌলভীবাজার কুলাউড়ার প্রেমানন্দ রায়।
সিলেট দক্ষিণ সুরমার মো. সিরাজুল ইসলাম, রংপুর মিঠাপুকুরের মো. মকবুল হোসেন, সুনামগঞ্জ দিরাইয়ের নিবারণ দাস, টাঙ্গাইল সদরের মেজর মো. সোহরাব আলী (অব.), চাঁদপুর ফরিদগঞ্জের আবুল খায়ের পাটওয়ারী, নোয়াখালী সুধারামের আবুল হাসেম’ যশোর শার্শার মো. আব্দুল আলী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন।
স্বীকৃতি পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন, ঢাকার খিলক্ষেতের মো. আব্দুল হাই, সিলেট সদরের সাইদুর রহমান, নওগাঁ ধামইরহাটের মো. মোকছেদ আলম, কক্সবাজার উখিয়ার পরিমল বড়–য়া, মেহেরপুর সদরের মো. খিদির আলী।
এছাড়া রয়েছেন জামালপুর বকশীগঞ্জের হাবিবুর রহমান, লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জের মো. নুরুল ইসলাম, যশোর সদরের মো. শামসুর রহমান, লালমনিরহাট আদিতমারীর ফিরোজুর রহমান, মাগুরা শ্রীপুরের মো. গোলাম মোস্তফা, ফেনী ফুলগাজীর মোহা. মনির আহমেদ ভূঁইয়া, ঢাকা সাভারের তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া।
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের আব্দুল কাদের মোল্লা, ঝালকাঠি সদরের আব্দুল হাকিম, বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার মো. আফজাল হোসেন তালুকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের মৃত মোসলেম মিয়া, বরিশাল বাকেরগঞ্জের মো. হাসমত আলী মোল্লা, খাগড়াছড়ি রামগড়ের সুবেদার আবুল বশর, যশোর চৌগাছার মাজেদা বেগম, দিনাজপুর সদরের মো. মিজানুর রহমান ও চট্টগ্রাম বায়জিদ বোস্তামীর এস ই ডেভিটও (ইউসুফ)।
এছাড়া সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরের মো. ইদ্রিস আলী, কুষ্টিয়া দৌলতপুরের মুসলিম উদ্দিন, ফেনী সদরের মো. জসিম উদ্দিন, কুষ্টিয়া দৌলতপুরের মো. আতাহার হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াা আখাউড়ার মোখলেছুর রহমান, কুমিল্লা মুরাদনগরের খলিলুর রহমান, সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরের মোহা. রহম আলী, ঢাকা মোহাম্মদপুরের মো. একেএম গোলাম মোস্তফা, দিনাজপুর বিরলের মো. মাইন উদ্দিন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত হলেন।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার সম্মানী ভাতা ও উৎসব ভাতা ছাড়াও দেশে ও বিদেশে (ভারত, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড) চিকিৎসা সুবিধা, মেয়ের বিয়ের জন্য ভাতা, সন্তান ও নাতি-নাতনিদের বঙ্গবন্ধু বৃত্তি, শিক্ষা ভাতা, ছেলেমেয়েদের বিনা বেতনে লেখাপড়ার সুযোগ, রেশন কার্ড পান। এছাড়া তাদের পানির বিল, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল ও হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হয়।