কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার অসহায় স্ত্রীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিড়ে ফেলে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার নগদ এক লক্ষ টাকা নিজে স্বাক্ষর করে উত্তোলন করেছে বলে এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। জানা যায় উপজেলার সাকুরা গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং যাহার বার্তা ভলিয়ম নং- ০১১৭০২০২৪৮, মন্ত্রনালয়ের সনদ নং- ম ৭৭৬৩৬, গেজেট নং- ১৪০৬।
মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক বিগত ১৯৯৯ সালের ২৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন এবং রেখে যান এক কন্যা, দুই পুত্র ও স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে। তার মৃত্যুর পর মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা হিসেবে বরাদ্দকৃত অর্থ ২০-০৯-২০০৭ ইং তারিখ থেকে পেয়ে আসছিলেন তার বিধবা স্ত্রী মনোয়ারা বেগম।
কিন্তু হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় তার এই মুক্তিযোদ্ধা ভাতা এবং অসহায় হয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে এই ভাতা বন্ধ হওয়ার কারণ জানতে বিধবা মনোয়ারা বেগম সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন অজ্ঞাত এক মহিলা মুক্তিযোদ্ধা মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক কে রহস্যজনকভাবে নিজের স্বামী বলে দাবি করে আবেদন করেছেন। অজ্ঞাত মহিলার করা দরখাস্ত বিষয়ে তদন্ত করতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গেলে দায়িত্বরত সমাজসেবা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানও বিধবা মনোয়ারা বেগমের সাথে তালবাহানা করতে শুরু করেন। মনোয়ারা বেগমকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে অস্বীকার করে তার স্বামীকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার আখ্যা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিড়ে ফেলে মোস্তাফিজুর রহমান। যা বিধবা মনোয়ারা বেগমের আইনগত অধিকারকে রীতিমতো ক্ষুন্ন করার অপরাধের শামিল ।
পরবর্তীতে মনোয়ারা বেগম ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখলেন তার এ্যাকাউন্ট শূন্য। এবিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সমাজসেবা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান নিজে স্বাক্ষর করে এক লাখ টাকা উত্তোলন করেছে।
এমতাবস্থায় বিধবা মনোয়ারা বেগম অসহায় পড়েন এবং এবিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর, জেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দরখাস্ত করেন। যাতে সে তার ন্যায্য অধিকার স্বামীর রেখে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা যেন পুনরায় গ্রহণ করতে পারেন।
Discussion about this post