মহিপুরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শহিদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এক ণিখিত অভেযোগ করেন। এ অভিযোগে মহিপুরের শহিদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ খানের নাতি মিজানুর রহমান বলেন, ২৭ এপ্রিল তাদের নিজস্ব বসতভিটার গাছের ঠাল কাটাকে কেন্দ্র করে তার বাবা শহিদ মুক্তিযোদ্ধার বড ছেলে আইযুব খান বাচ্চু, এবং তার মা শহিদ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হোরেযা বেগম (৮০) ও তার উপরে পরিকল্পিত ভাবে দেশীয অস্ত্র (বগি, দা) দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে অতর্কিত হামলা চালায তার আপন চাচা শহিদ মুক্তিযোদ্ধার মেজ ছেলে জাকির হোসেন খান, তার বড ছেলে সাইফুল ইসলাম রুবেল, মেজ ছেলে রাসেল, এবং সেজ ছেলে রাজু এবং তার স্ত্রী রোকেযা বেগম। এসময হত্যার উদ্দেশ্যে আইযুব খানের উপরে হামলাকারীরা এলোপাথারি কোপ দিলে গুরুতর তার মাথায এবং বাম চোখে আঘাত লাগে। তাৎক্ষণিকতাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় জাতীয চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয বর্তমানে তার চোখের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ণিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বিগত দিনে তারা তাদের নামে বিভিন্ন ধরনের একাধিক মিথ্যা ও বানোযাট মামলা দায়ের করে হযরানি করে আসছে এবং এর আগে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ছোট ছেলে জহিরুল ইসলামের উপরের হামলাকারীরা প্রাননাসের হামলা চালিযিেছল। এতেই তারা ক্ষান্ত হযনি তার দাদা খেতাবপ্রাপ্ত শহিদ মুক্তিযোদ্ধা’র নামে হামলাকারী তার মেজো ছেলের শুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য তাকে রাজাকার বানানোর অপচেষ্টা ও অপপ্রচার চালিযিেছল।
এসময শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জানান, দীর্ঘদিনধরে তার এবং তার বডছেলে আইযুব খান বাচ্চু ও সেজো ছেলে জহিরের উপর একাধিকবার প্রান নাসের উদ্দেশ্যে হামলা চালায। অভিযোগে তারা আরো জানান, হামলা-মামলার ৫ নম্বর আসামি ও হুকুমদাতা রোকেযা বেগম কে এখনো গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তিনি এখনো দা, ছেনা নিয়ে তাদের উপরে আক্রমণের চেষ্টা করে আসছে। হামলাকারীরা হামলা করেই থেমে যাযনি এখনো তারা বিভিন্ন মাধ্যমে আহতদের পরিবারকে হত্যার হুমকি এবং ভযভীতি দেখিয়ে আসছে।
এবিষয় সাবেক ইউপি সদস্য হাজী আবুল হাসেম হাওলাদার জানান, তাদের বীরোধ দীর্ঘদিনের আমি সহ একাধিক লোক মিমাংসার চেষ্টা করেও সমাধান করতে পারিনি। তারা জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত রয়েছে তাই তাদের নিরাপত্তা ও ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহিপুর থানার এস আই তারেক মাহমুদ জানান, মামলার তদন্ত চলমান, শীগ্রই মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি