আরটি পিসিআর ল্যাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি ও হার সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তারা বলছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসলে করোনা পরীক্ষার ফি হবে ২০০ টাকা। বাসা থেকে নমুনা নিয়ে গেলে বাড়তি ৫০০ টাকা দিতে হবে গ্রাহককে। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে করোনা পরীক্ষা করাতে হলে গুণতে হবে আরও বাড়তি টাকা।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসলে করোনা পরীক্ষার ফি হবে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। আর বাসা থেকে নমুনা নিয়ে গেলে আরও এক হাজার টাকা যোগ হবে তাতে। তবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, দুস্থ ও গরিব রোগীরা চিকিৎসা সুবিধা বিধিমালা-১৯৭৪ অনুসারে অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন।
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘আরটি পিসিআর পরীক্ষাগারে করোনা পরীক্ষায় ফি ও হার নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে বুথ থেকে সংগ্রহীত নমুনা ২০০ টাকা, বাসা থেকে সংগ্রহীত নমুনা ৫০০ টাকা এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীর নমুনা ২০০ টাকা। চিকিৎসা সুবিধা বিধিমালা -১৯৭৪ সালের আওতায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা, দুস্থ ও গরিব রোগীদের চিকিৎসা, রোগ নির্ণয় ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংক্রান্ত সরকারি আদেশ বহাল থাকবে। সকল সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে উল্লেখিত হারে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই এই আদেশ কার্যকর হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আমরা বলেছি যে, বেসরকারিভাবে যারা করোনা পরীক্ষা করছেন, তারা বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করলে এক হাজার টাকা নেবেন এবং পরীক্ষার ফি ৩ হাজার ৫০০ টাকা। বাসায় নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার ফি একসঙ্গে হবে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নমুনা দিলে পরীক্ষার ফি শুধুমাত্র ৩ হাজার ৫০০ টাকা।’
বুধবার (২ জুলাই) সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিভিল সার্জেন্ট, বিভাগীয় পরিচালক, জেলা হাসপাতাল ও সকল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কদের আরেকটি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এ বিষয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘আমরা জানিয়েছি, যে স্থানে নমুনা সংগৃহীত হবে সেই স্থানেই এই সরকারি ফি ক্যাশ মেমোর মাধ্যমে গৃহীত হবে। সরকারি কোষাগারের যে নম্বর দেয়া আছে পরিপত্রে, তার মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে অর্থ জমা হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর একটি অ্যাপ তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। অ্যাপ তৈরি হলে তার মাধ্যমে অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হবে। আর বেসরকারি হাসপাতাল দরিদ্র রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে সরকারি পরীক্ষাগারে পৌঁছালে, এসব রোগীদের ক্ষেত্রে টাকা মওকুফ সরকারি নির্দেশনা মতে হবে। যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অর্থগ্রহণ করছে, তারা এই অর্থটি যে পরীক্ষাগারে নমুনা জমা দিচ্ছেন, সেই পরীক্ষাগারে হস্তান্তর করবেন। ক্যাশ মেমোর মাধ্যমে এই অর্থ লেনদেন হবে। সরকারি কোষাগারে জমা দেবে।’
Discussion about this post