হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেনের ওপর হামলার ১১ দিন আজ। গত ২৬ জুন সকালে পরিষদের সামনে পরিকল্পিত হামলার শিকার হন তিনি। এ সময় তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়। একই সাথে তাঁর দুই ছেলে ও দুই ইউপি সদস্য হামলার শিকার হন।পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা সদর হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন
ওই দিন রাতেই ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামী করে হরিরামপুর থানায় মামলা করা হয়। হরিরামপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের ব্যানারে ১ জুলাই আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। এতে স্থানীয়রাও অংশ নেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তারা বলছে, আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন শুধু রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নন, তিনি হরিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিও। তাঁর রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায়। এরপরও তাঁর উপর হামলার ঘটনায় এখনো কোনো আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় শঙ্কা বিরাজ করছে এলাকায়।
এলাকাবাসী বলছেন, ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন এবং পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির ওপর হামলার ঘটনায় যদি আসামীরা গ্রেপ্তার না হয়, তাহলে আমাদের মত সাধারণ মানুষের উপর হামলা হলে, আমরা কিভাবে ন্যায় বিচার পাবো? আসামীরা আমাদের মেরে এলাকায় মিছিল করবে, প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াবে। এলাকাবাসীর কথায়, আসামী গ্রেপ্তারে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, আসামীদের গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন তারা।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুঈদ চৌধুরী বলেন, আসামীরা কেউই এলাকায় নেই। মামলা হওয়ার পর প্রতিদিনই তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না। আসামীদের গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা অব্যহত আছে।
Discussion about this post