বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক হাজার ১৩৪ মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল করে যে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ হয়েছিল, তা থেকে ১১৯ জনের ক্ষেত্রে সেটি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পৃথক দুটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ স্থগিতাদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আবদুল কাইয়ূম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ। আবদুল কাইয়ূম জানান, গেজেট বাতিল আইনানুগ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা রিট করেছেন। আজ আদালত পৃথক রিটের শুনানি নিয়ে ১১৯ জনের ক্ষেত্রে গেজেটটি নিয়মিত আদালত খোলা না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছেন।
বাগেরহাটের সদর উপজেলার বেগুরগাতি গ্রামের মোল্লা মোশাররফ হোসেনসহ ৮৭ জন এবং টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার বেথবাড়ীর ফজলুল হকসহ ৩২ জন এ দুটি রিট করেন।
গত ৭ জুন এক হাজার ১৩৪ বিজিবি সদস্যের গেজেট বাতিল করে সরকার। ওই গেজেটে বলা হয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২-এর ৭(ঝ) ধারা অনুযায়ী, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬-এর শিডিউল-১-এর তালিকা ৪১-এর ৫ নম্বর ক্রমিকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জামুকার ৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর (১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এ যোগদানকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের এক হাজার ১৩৪ জনের নামে প্রকাশিত গেজেট বাতিল করা হলো।
এর আগে এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ জুন শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার মো. আবু তাহেরের ক্ষেত্রেও গেজেটটি স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।