আরো ৩৫ জনের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল করা হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০০২ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
যে ৩৫ জনের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল হয়েছে তারা হলেন পাবনার মো. ইসরাইল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. ইয়াকুব আলী, মো. আকতার আলী রাঙ্গা, মো. আমিরুজ্জামান খান খোকা ও মো. আবু তাহের, মো. ফজলুর রহমান, মো. নওশের আলী, মো. আ. জলিল শেখ, মো. আজিজুর রহমান ও মো. মজিবুর রহমান।
কুমিল্লার শামছুল হক, ঠাকুরগাঁয়ের আব্দুর রহমান, নরসিংদীর মো. সিরাজুল ইসলাম, ফরিদপুরের সুশীল কুমার পাল, নওগাঁর মো. আনিসুর রহমান ও লক্ষীপুরের মো. আবুল কালামের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের মো. আবুল কালাম, আব্দুর রহমান, মো. আলী হোসেন, মো. শাহাব উদ্দিন, মো. লিয়াকত আলী, মো. আলী, আব্দুল বাতেন, মো. ইছাক মিয়া, মো. নূর মোহাম্মদ মোল্লা, মো. গিয়াস উদ্দিন, খন্দকার আবু জাফর, মো. কামাল হোসেন ও মো. শফিকুর রহমান বেপারীর মুক্তিযোদ্ধা গেজেটও বাতিল হয়েছে। গেজেট বাতিলের তালিকায় আরো রয়েছেন চাঁদপুরের সুলতান আহাম্মদ তপাদার ও মো. ইলিয়াস খান।
গত ৭ জুন প্রথম ১১৮১ জনের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন করে তালিকায় এই ৩৫ জনের নাম প্রকাশ করল মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ২ জুন এক হাজার ২৫৬ জনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
কিছুদিন আগে রাজাকের তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেই পরিস্থিতের কিছুটা শিথিলের মধ্যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিন্ধাতে পৌঁছাল সরকার। কিছুদিন আগে মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন তালিকা করতে গিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে মন্ত্রণালয়।
২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকঢোল পিটিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার। নতুন করে প্রায় দেড় লাখ আবেদন জমা পড়ে। এই প্রক্রিয়া নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ উঠলে শেষ পর্যন্ত নতুন তালিকা প্রকাশ স্থগিত হয়।
সরকারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সব ধরনের তালিকা মিলে মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৬ জন। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করেন এমন সংখ্যা ২ লাখ ৫১ হাজার ২৮৫। এদের অনেকের নাম একাধিক গেজেটে বা দলিলে রয়েছে। বর্তমানে ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ১ হাজার ৪৬১ জন।
Discussion about this post