মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডাক্তার শাহ আলম। ১৯৭১ এ ইন্টারমিডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। যুদ্ধ করেছেন ৯ নং সেক্টরে। তরুণ এ মুক্তিযোদ্ধা দেশের স্বাধীনতার জন্য পটুয়াখালী এলাকায় গলাচিপা বাউফল অন্চলে সম্মুখ যুদ্ধে ক্যাপ্টেন বেগ ক্যাপ্টেন ওমর ও স্হানীয় কমান্ডার বিডিআর হাবিলদার পন্চম আলী র নেতৃত্বে যুদ্ধ করেন। অকুতোভয় এঐ যোদ্ধা স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বরিশাল মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করেন। তিনি কর্মজীবনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ছিলেন। এবং প্রাক্তন অধ্যাপক বিভাগীয় প্রধান কমিউনিটি মেডিসিন আশিয়ান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল. খিলক্ষেত ঢাকা।
গত জুন মাসে পটুয়াখালীতে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় এই মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হন। তিনি ফুসফুস এবং লিভারের জটিলতায় তীব্র ভাবে ভোগেন। দীর্ঘ একমাস করোনার সাথে লড়াই করে করোনা মুক্ত হন। সত্তর বছর বয়সে দেশের মানুষের সেবা করতে পিছপা হননি। করোনা মুক্ত হয়ে আবার করতে চান দেশ সেবা। মুক্তিযোদ্ধা এঐ চিকিৎসক ৩০% কোটা উদ্ধারের জন্য হাইকোর্টে রীট করেছেন। জীবনের এ গোধূলি লগ্নেও ভাবছেন মুক্তিযোদ্ধা ও পরবর্তী প্রজন্ম এবং দেশের মানুষ নিয়ে। সেবা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন আমৃত্যু।
Discussion about this post