ঢাকার ধামরাইয়ে মসজিদের উন্নয়নের হিসেব চাওয়ায় এক মুক্তিযোদ্ধা ও তার ছেলেকে মারধর করে রক্তাক্তের ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঘটনায় ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা বাদি হয়ে ধামরাই থানায় দশজনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার সকালে (১৯ জুলাই) ধামরাই থানায় মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের সুন্ধিতারা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন। এর আগে রাতে চৌহাট ইউনিয়নের সুন্ধিতারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের ইউনুছ আলী ছেলে রাজিব (২৬), একই এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে আনোয়ার (২৩) ও দুলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন আলী (২৫)।
ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন বলেন, গত শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিকেলে সুন্ধিতারা জামে মসজিদের ভিতরে জুম্মার নামাজ শেষে আলোচনায় বসেন তারা। এসময় মসজিদের উন্নয়নের হিসাব চাইলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মসজিদ কমিটির সেক্রেটারীর ভাই হাসান ও তার স্বজনরা। এ নিয়ে তর্ক-বির্তকের এক পর্যায় তাকে হঠাৎ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন হাসান, কালা, সোনা মিয়া, আনোয়ার, হোসেন ও রুবেলসহ ৯-১০জন। এতে বাঁধা দিলে তার স্কুলশিক্ষক ছেলে লিটন ও রাশেদুলকে মারধর করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পান্নু মিয়া জানান, মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলার ঘটনায় রোববার রাতে অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন বাদি হয়ে অভিযুক্ত দশজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
Discussion about this post