ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ সাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। তারই অংশ হিসেবে ২০১৯-২০২০ সালে দুই হাজার মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে বৃত্তি দিয়েছে ভারত। পাঁচ বছরের মোট ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে বৃত্তি দেবে ভারত। সোমবার (২০ জুলাই) ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বৃত্তি প্রকল্প ২০১৯-২০২০ এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ।
উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়ালেখা করা দুই হাজার শিক্ষার্থীকে এ বৃত্তি দেওয়া হয়। এসময় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রত্যেককে ২০ হাজার করে এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৫০ হাজার করে নগদ অর্থ দেওয়া হয়। দুই বিভাগে এক হাজার করে শিক্ষার্থী এবার বৃত্তি পান। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে স্ব-স্ব অ্যাকাউন্টে টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সব জেলা থেকে এ শিক্ষার্থীদের বাছাই প্রক্রিয়ায় ভারত সরকারকে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার অনলাইনে টাকা স্থানান্তর করা হয়। দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বন্ধুত্ব অত্যন্ত সুগভীর। ২০১৭-১৮ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীদের জন্য এ বৃত্তি প্রকল্প চালু হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এ বৃত্তি দেওয়া হয়।
ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন ও বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশের সব জেলা থেকে যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হয়।
Discussion about this post