বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর হাদিউল ইসলাম বিজিবিতে চাকুরী করতেন। ১৯৭১ সালের রনাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে। জন্ম বেড়ে ওঠে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার থানার পাচুলিয়া গ্রামে। দীর্ঘ চাকুরী জীবন শেষে মাথাগোঁজার একটা ঠাঁই করতে চেয়েছিলেন গ্রামে।
যথারীতি নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করে কাজ শুরু করতে যাচ্ছিলেন। এ সময় পাশ্ববর্তী বাড়ির সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার রাজুর যোগসাজশে বিএনপি জামাত সমর্থিত চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদকসেবি ও ব্যাবসায়ী রন্জু, দিপক. দিদার, নাইম , মোস্তাক সংঘবদ্ধ হয়ে চার লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় ঘর উঠাতে দেবেনা বলে হুমকি দেয়।
সন্ত্রাসীদের অব্যাহত চাঁদা দাবীর মুখে অতীষ্ঠ হয়ে দেলদুয়ার থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু প্রশাসন তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এর ফলে রাজু রন্জু গং আরও ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধার সত্তর বছরের ভোগ করা পৈত্রিক সাফকবলা করা জমিতে ছাপড়া ঘর তোলে।
গত ২৮/০৬/২০২০ তারিখে মুক্তিযোদ্ধা হাদিউল ও তার বড়ভাই এর প্রতিবাদ করলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হত্যার হুমকি দেয়। থানায় খবর দিলে পুলিশ না আসায় পুলিশের জরুরী নাম্বার ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চাওয়া হয়। পরিপ্রেক্ষিতে থানা থেকে মাত্র দুইজন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পাঠায়। পুলিশের সামনেই সন্ত্রাসীরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা করে। এতে মুক্তিযোদ্ধা হাদিউল গুরুতর জখম ও তার বড়ভাই মোয়াজ্জেমের বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে ফেলে। তাদের চিকিৎসার জন্য দেলদুয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে সন্ত্রাসীদের নিজেদের বাঁচাতে উল্টা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করে। পুলিশের সামনে ঘটনা ঘটলেও থানা মামলা নিতে গড়িমসি করে। অনেক তালবাহানা করে একটি সাধারণ মামলা নেয় রাজু-রন্জু গ্রুপের বিরুদ্ধে। থানা পুলিশ জামাত বিএনপির সমর্থিত এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান না চালিয়ে পক্ষান্তরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সহায়তা প্রদান না করার কোন কারন খুঁজে পাওয়া যায়না। রাজু-রন্জু গ্রুপ এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি ভুগছে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুক্তিযোদ্ধারা নিগৃহীত হচ্ছে। স্হানীয় কিছু নব্য সরকার দলীয়দের মদদ পুষ্ট হয়ে এসব সন্ত্রাসী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর অত্যাচার করে যাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা হাদিউল জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ফিরে যেতে চান গ্রামে চান একটু জীবনের নিরাপত্তা।
Discussion about this post