খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কক্সবাজার জেলার গর্ব এস এম নুরুল হক (বীর প্রতীক)। কক্সবাজার সদরের পাশ্ববর্তী ঝিলংজা ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি বরাবর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। তার পুত্র খোরশেদুল হক খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব, জাতীয় শ্রমিক লীগের কক্সবাজার জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও কমিউনিটি পুলিশ ঝিলংজার সাংগঠনিক সম্পাদক। মাদকের স্বর্গরাজ্য কক্সবাজারে মাদক ও অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিবাদ করে আসছে খোরশেদ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিভিন্ন বাঁধা ও হুমকির সম্মুখীন হয়েছে বারবার। তবুও থেমে থাকেনি প্রতিবাদী যুবক খোরশেদ। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেন সাধ্যমত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ জুলাই বাংলাবাজার মুক্তারপুরে ব্যক্তিগত কাজে বন্ধু জাহাঙ্গীর ও বশিরের সাথে কথা বলছিলেন। হঠাৎ দেখতে পান চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী শাজাহান ওরফে ফেরেঙ্গা শাজাহান ইয়াবা বিক্রয় করছে। তৎক্ষণাৎ খোরশেদ তার মোবাইলে এই ইয়াবা বিক্রির ঘটনা ভিডিও করেন। এই ঘটনা জানাজানি হলে ফেরেঙ্গা শাজাহান ঘটনাটিকে উল্টা সাজিয়ে ঝিলংজা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান টিপু সুলতানের নিকট জানায়। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বি খোরশেদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার মডেল থানায় অভিযোগ জানায় টিপু সুলতান।
কক্সবাজার মডেল থানাপুলিশ এক ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নুরুল হক (বীর প্রতীক) বাড়িতে ঐ দিন রাত তিনটায় অভিযান চালায়। এবং খোরশেদ ও তার পরিবারকে বেলা এগারোটা পর্যন্ত নিজ গৃহে অবরুদ্ধ করে রাখে। এই সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নুরুল হক (বীর প্রতীক) বাড়িতেই ছিলেন। পরে পুলিশ তার বাসায় অবৈধ কিছু না পেয়ে জিগ্গাসাবাদের জন্য খোরশেদকে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে কক্সবাজার জেলা এসপি এ বি এম মাসুদ হোসেইনের নির্দেশে দ্রুত তদন্ত পরিচালনা করেন কক্সবাজার মডেল থানার ওসি। তদন্তে সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হন খোরশেদ। কক্সবাজার বাসির প্রশ্ন একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সাথে চিহ্নিত মাদকক ব্যাবসায়ীর সাথে কি সম্পর্ক। আর পুলিশ সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া কক্সবাজার তথা দেশের বীর সন্তানের পরিবারকে কেন হয়রানি করবে। সর্বস্তরের জনগণ এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
Discussion about this post