মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ড আয়োজিত মানববন্ধনে হামলার ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমান রাসেলসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। আটক মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল হলেন বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের এপিএস। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন। এছাড়া এই চারজন বাদে আরও তিনজনকে আটক করা হবে বলে জানা যায়। তারা হলেন- এনামুল হক, আবুল কালাম ও মিজানুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী হিসাবে পরিচিত গেরিলা কমান্ডার মৌলভী সৈয়দ আহমেদের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার না দেয়ায় এবং ঐ পরিবারের বিরুদ্ধে বাঁশখালি আওয়ামীলীগ দলীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আজ ২৪ আগষ্ট সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধারা এক শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও সভার আয়োজন করে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলীকে রাষ্ট্রীয় সম্মান না জানানোর প্রতিবাদে ‘মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ড’ আয়োজিত মানববন্ধনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর অনুসারীরা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন- মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হাশেম, মৌলভী সৈয়দ আহমদের ভাতিজা জহির উদ্দিন বাবর, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, ছাত্রলীগ নেতা আরমান হোসেন, জয় সরকার, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদসহ কয়েকজন সাংবাদিক। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী রমিজ উদ্দিন কানন জানান, মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানে বাধা দেওয়াসহ নানা বিষয়ের প্রতিবাদে ‘মুক্তিযুদ্ধের সন্তান কমান্ড’ এ মানববন্ধন করে। এসময় সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর অনুসারী বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র শেখ সেলিমুল হকের নেতৃত্বে মানববন্ধনে হামলা চালানো হয়। এদিকে হামলার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার সাহাব উদ্দীনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। এসময় বক্তব্য দেন- যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, নুরুল আজিম রনিসহ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতারা।
সমাবেশে কমান্ডার সাহাব উদ্দীন সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানকে দলীয় সকল পদ ও সাংসদ পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান।
Discussion about this post