টাঙ্গাইলের সখীপুরে শাহজাহান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ মালেক মিয়ার ৩৬ শতাংশ জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই মুক্তিযোদ্ধা সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে লকডাউন থাকাকালে সে তার লোকজন নিয়ে অবৈধভাবে এ জমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করেন।
উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মীমাংসায় কালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম কামরুল হাসান ও গজারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ চেষ্টা করেও সুরাহা করতে পারেননি। জমিটি উদ্ধারে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন জমির মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ মালেক মিয়া।
জানা যায়, উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কীর্ত্তণখোলা গ্রামের মৃত হাজী লোকমান হোসেনের ছেলে মোঃ আঃ মালেক মিয়া প্রায় ৪৩ বছর আগে কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের শাহজাহানের বাবা তোয়াজ উদ্দিন, মা রুপজান বেগম ও দাদী ফুলজান বেগমের কাছ থেকে ওই মৌজার ৩১১ খতিয়ানের এসএ ২৫১,১৬০,১৬১,১৬২ হালদাগ ৫১১৪,৫১১৫ ,৪৪ এর কাতে ৩৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছেন।
দীর্ঘ ৪৩ বছর পর শাহজাহান মিয়া তার বাবা মা ও দাদী ওই জমিটি বিক্রয় করেননি দাবি করে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করলে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ মালেক মিয়া টাঙ্গাইল আদালতে মামলা করেন। পরে আদালত ওই জমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করেন। মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ মালেক মিয়া সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে লকডাউন থাকাকালে আদালত কর্তৃক জারিকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে শাহজাহান মিয়া তার লোকজন নিয়ে অবৈধভাবে এ জমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করেন।
বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ মালেক মিয়া বলেন, ৪৩ বছর ধরে জমিটি কলাবাগানসহ বিভিন্ন ফসলাদি আবাদ করে ভোগদখল করে আসছি। জমি ক্রয়ের দলিলপত্র খাজনা খারিজসব থাকার পরও জোরপূর্বক শাহজাহান মিয়া বাড়িঘর নির্মাণ করে আমাকে বেদখল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি জমিটি উদ্ধারে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। শাহজাহান মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জমিটি তার বাবা, মা ও দাদী বিক্রি করেননি বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে গজারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, বিষয়টি মীমাংসায় শালিসী বৈঠক করা হলেও সুরাহা হয়নি।
Discussion about this post