মুক্তিযুদ্ধে ঢাকার বেঙ্গল প্লাটুন কমান্ডার ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন (ইন্না লিলাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে বেঙ্গল উপাধিতে ভূষিত হওয়া এই মুক্তিযোদ্ধা আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান। ইসমাইল হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ড. রেদোয়ান আহমেদ।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের পর রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘গার্ড অব অনার’ সালাম প্রদর্শন করেন লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতিতে। পরবর্তী সময়ে সারা দেশে ঘুরে ঘুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন।
তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে এর সিনিয়র সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উপদেষ্টা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের গঠিত প্রথম দল জনদলের মাধ্যমে। এই দলের এক নম্বর প্রতিষ্ঠাতা ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি। পরে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি দলে যোগ দেন এবং এই দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এই মুক্তিযোদ্ধা ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে সাবেক চাঁদপুর-৬ (বর্তমানে চাঁদপুর-৪) এবং ঢাকা-১০ (রমনা) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পান। জাতীয় পার্টির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চিফ কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯১ সালের নির্বাচনে। পরবর্তীতে তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল জাতীয় পার্টিতে (এরশাদ) থাকাকলীন জাতীয় পার্টির দুঃসময়ে ১৯৯০ সালে এরশাদ মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। বিএনপিতে যোগ দেয়ার পরে ১/১১-তে দুই নেত্রী (শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া) গ্রেপ্তার হলে তাদের মুক্তির দাবিতে বিএনপির হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আন্দোলন ও কর্মসূচি পালন করেন এই নেতা।
Discussion about this post