পঞ্চগড়ে নাতনিকে পানি থেকে বাঁচাতে গিয়ে সামসুল হক নামে (৭০) এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বড় ছেলের একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া (৭)। সুমাইয়া স্থানীয় একটি নুরানি মাদরাসায় পড়াশুনা করছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের কৈকুড়ি গ্রামে। নিহত ওই মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের কৈকুড়ি গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে সামসুল হক তার নাতনি সুমাইয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশে নালার পানি দেখতে যায় । সেখানে নাতনি সুমাইয়া পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়। নাতনিকে খুঁজতে গিয়ে পানিতে ডুবে সেখানেই মারা যায় মুক্তিযোদ্ধা সামসুল। পরে নাতনিকে অসুস্থ্য অবস্থায় পাশের ধানক্ষেতে ভেসে থাকতে দেখতে পায় এলাকাবাসী।
নিহতের মামাত ভাই আব্দুর রাজ্জাক জানায় সুমাইয়াকে অজ্ঞান অবস্থায় এবং মুক্তিযোদ্ধাকে উদ্ধার করে দুজনকে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে সেখানে কর্তব্যরত পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. উম্মে হুমায়রা মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত ঘোষণা করে একইসঙ্গে নাতনি সুমাইয়াকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা। বর্তমানে সুমাইয়ার জ্ঞান ফিরেছে এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আককাছ আহাম্মেদ পানিতে মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Discussion about this post