বয়স, জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন প্রত্যয়নপত্র জালিয়াতি করে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হতে চেয়েছিলেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আছমা বিবি।
এ বিষয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি চান শিশু’ শিরোনামে কালের কণ্ঠে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর এ নিয়ে আলোচনা হয়। জালিয়াতির অভিযোগে তাঁকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। জয়পুরহাট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেবেকা সুলতানা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা বেগম নায়না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজা মণ্ডল রিনা বলেন, ‘দলের নেত্রী হয়ে সম্পূর্ণ ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে আছমা বিবি বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জামুকায় আবেদন করে দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করেছেন। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রকৃত বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাদের হেয়প্রতিপন্ন করেছেন। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের জানানোর পর তাঁদের নির্দেশে আছমাকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, ‘ঘটনাটি পুনঃ তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি নারী তদন্তদল গঠন করা হয়েছে। যাঁদের চারজন সরকারি কর্মকর্তা ও একজন এনজিও প্রতিনিধি। আগামী সপ্তাহের পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
Discussion about this post