ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তায় যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম আছে তারা যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় পড়বেন না। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বেসামরিক গেজেট ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সুপারিশ করেছে, প্রমাণ পাওয়া গেলে সেসব গেজেট যাচাই-বাছাই না করার জন্য বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) নতুন করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তালিকা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার জামুকার সুপারিশ ছাড়া যাদের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বেসামরিক গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাঁদের মধ্য থেকে ৩৯ হাজার ৯৬১ জন মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তায় নাম আছে, এমন অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে ওই যাচাই-বাছাইয়ের তালিকায়। তাদের সনদ কেন আবার যাচাই-বাছাই হবে, তা জানতে চেয়ে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছেন কেউ কেউ। এ অবস্থায় মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার নতুন করে আরেকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তা বা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৩টি প্রমাণের মধ্যে রয়েছে, তারা যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় পড়বেন না। তাদের নাম জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে যাচাই-বাছাইয়ের তালিকায় প্রকাশ হলেও তা যাচাই-বাছাই না করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ‘বেসামরিক গেজেট’ ও ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল’ সুপারিশ করেছে, প্রমাণ পাওয়া গেলে সেসব গেজেট যাচাই-বাছাই না করার জন্য বলা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
যাচাই-বাছাইয়ের আওতাভুক্ত তালিকা এবং এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.molwa.gov.bd) এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে (www.jamuka.gov.bd) পাওয়া যাচ্ছে।
Discussion about this post